আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
টানা এক সপ্তাহেরও অধিক সময় ধরে ভারী বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় কঙ্গোতে কমপক্ষে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যায় ও ভূমিধসের ফলে পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ গৃহহারা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় রেড ক্রস। এ দিকে দেশটিতে চলমান কলেরা মহামারির মধ্যে এ দুর্যোগ যোগ হওয়ার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে বলে জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদের মতে, গত ২০ বছরে কঙ্গোতে এটিই সবচেয়ে বড় বিপর্যয়।
গত জুলাই মাস থেকে দেশটিতে কলেরার প্রাদুর্ভাব হয়। এরপর দেশটির ২৬টি প্রদেশের ২৪টিতেই মহামারী আকারে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ে। কলেরা এখন পর্যন্ত ১১৯০ জন মারা গেছে সেখানে। বন্যার পরে বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব, ঘনবসতি এবং অনুন্নত স্যানিটেশনের কারণে কলেরা আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানায় ডক্টর্স উইদাউট বর্ডার।
অবকাঠামোভাবে দুর্বল দেশটিতে বৃষ্টি হলে বন্যা সৃষ্টি হয়। সেইসাথে ঘটে পাহাড় ধসের ঘটনাও। অপরিকল্পিত ও অননুমোদিত বসতি স্থাপনের ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা থেকে এ বন্যা হয়েছে বলে দাবী করেছে কঙ্গো সরকার। তবে নিহতদের স্মরণে দেশটিতে দুইদিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে। সূত্রঃ রয়টার্স।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি