নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে নজরদারির জন্য বিশেষ সফটওয়্যার সমৃদ্ধ বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট গঠনের উদ্যোগ সময়োপযোগী ও বাস্তব প্রেক্ষিতে অপরিহার্য। তবে এ ধরণের নজরদারির অপব্যবহার হলে জনগণের বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
আজ রোববার এক বিবৃতিতে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানহানিকর, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও উস্কানিমূলক এবং অপরাধমূলক প্রচারণাকারীদের নজরদারির লক্ষ্যে সরকার বিশেষ সফটওয়্যার সমৃদ্ধ পুলিশের বিশেষায়িত একটি ইউনিট গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ ও দমন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। বাংলাদেশও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। তাই এ ধরণের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে কার্যকর নজরদারি অপরিহার্য। তবে নজরদারিতে নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত দক্ষতা, সততা, পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতার ঘাটতি থাকলে এ ধরণের নজরদারির মাধ্যমে সংবিধান প্রদত্ত জনগণের বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। বিশেষ করে এ ধরণের ইউনিট যদি রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাবমুক্ত হয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থেকে বস্তুনিষ্ঠতার সাথে দায়িত্ব পালনে সক্ষম না হলে উক্ত নজরদারি ঝুঁকিপূর্ণ ও আত্মঘাতি হতে পারে।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার কারণে বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা ইতোমধ্যে সংকুচিত হয়েছে যার স্বীকৃতিস্বরূপ আইনমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রী ওই ধারা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন। সে প্রতিশ্রুতি অবিলম্বে পূরণ করতে হবে। একই সাথে উল্লিখিত প্রযুক্তিনির্ভর বিশেষায়িত ইউনিটের কার্যক্রম শুরুর আগে এর সুনির্দিষ্ট বিধিমালা প্রণয়ন বিশেষ করে অর্পিত ক্ষমতা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা, বস্তুনিষ্ঠতা ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিতের জন্য কঠোর পরিবীক্ষণ, আভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও জবাবদিহিতা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিধিমালা প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট খাতে বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনদের সম্পৃক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করাও অপরিহার্য মনে করছে টিআইবি।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর