২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৯:৫৬

দুদক ম্যাডামকে দোষী প্রমাণ করতে পারেনি : ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেছেন, এই মামলায় সাক্ষ্য-তথ্য প্রমাণে ম্যাডামকে (খালেদা) দোষী সাব্যস্থ করতে পারেনাই। আর এই ট্রাস্টের সাথে উনার কোনা সম্পর্ক নেই। উনি সম্পূর্ণরুপে খালাস পাবেন।

যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শুরুতেই জমির উদ্দিন সরকার ১/১১ কথা স্মরণ করেন।

পুরান ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত বিশেষ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে বিএনপি প্রধান জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে পৌঁছান।

এরপর বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন। বিরতির আগে তিনি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছেন। বুধবারও তিনি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছিলেন।

এর আগে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে আদালতের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়।

বেগম খালেদা জিয়ার হাজিরা ঘিরে আদালত ও এর আশপাশের এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া আদালতের প্রধান ফটকে স্ক্যানার বসিয়ে তল্লাশি করে ভেতরে ঢোকানো হচ্ছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার যুক্তিতর্কের জন্য ১০ ও ১১ জানুয়ারি দিন ধার্য রয়েছে। গতকাল বুধবার বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী যুক্ততর্ক উপস্থাপন করেন।

এর আগে ৪ জানুয়ারি তিনিও বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্ততর্ক উপস্থাপন করেন।

পুরান ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত বিশেষ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে মামলা দুটির কার্যক্রম চলছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে বেগম খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

পরে ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন— বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর সাবেক নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

এ ছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় অপর একটি মামলা করে দুদক।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

মামলায় বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন— মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :জানুয়ারি ১১, ২০১৮ ১:৩২ অপরাহ্ণ