নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমার বিরুদ্ধে ‘স্বজনপ্রীতি’ ও ‘আত্মীয়করণ’র অভিযোগ তুলে তার অপসারণ দাবি করেছে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদ। বুধবার সকালে রাঙামাটি শহরের একটি রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি করেন।
লিখিত বক্তব্যে তারা দাবি করেন, ভিসি ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা বিশ্ববিদ্যালয়ে একচেটিয়াভাবে তার আত্মীয় স্বজনদের নিয়োগ দিয়ে চলেছেন। বিগত চার বছরে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন করেনি। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিস্বত্ব বুঝে পাওয়ার পরেও উক্ত স্থানে কাজই শুরু করতে পারেননি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাবিপ্রবি বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম মুন্না।
‘শুধু তাই নয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানের নামে নামফলক দেয়ার পর রাতের আঁধারে সেই নামফলক উপড়ে ফেলে দুর্বৃত্তরা। কিন্তু এই ঘটনার পরও থানায় কোনো প্রকার জিডিও করেননি ভিসি। ভিসির ব্যর্থতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে একটি বেসরকারি স্কুলের ভাড়া করা কক্ষে। গাদাগাদি করে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের’- লিখিত বক্তব্যে যোগ করেন তিনি। বক্তারা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ইউনেস্কোর স্বীকৃতির কর্মসূচি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত চার বছরে কোনো জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়নি। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালন করার অপরাধে এক ছাত্রকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে ভিসির অপসারণের দাবিতে হরতাল অবরোধসহ কঠোর ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান, ১৬ জানুয়ারি থেকে গণসাক্ষর সংগ্রহ, ২৬ জানুয়ারি মানববন্ধন, ১৬ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুধীজনদের সঙ্গে মতবিনিময়, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে লাগাতার হরতাল। সংবাদ সম্মেলন শেষে ভিসি ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমার অপসারণের দাবিতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল-মামুন, জাহাঙ্গীর কামাল, কাজী জালোয়া প্রমুখ।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি