নিজস্ব প্রতিবেদক:
ক্যাম্পাস আঙিনায় অপরাধ ও অনৈতিক কাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুরো ক্যাম্পাস সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে এসেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ১৭৫ একরের পুরোটাই এখন প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। অপরাধ সংগঠিত হওয়ার পর অপরাধিকে ধরে বিচার করার চেয়ে, অপরাধ করার আগেই সুযোগ সন্ধানীদের থামিয়ে দিতে চায় প্রশাসন। এজন্য সার্বক্ষণিক সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো ক্যাম্পাস পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানান তারা।
সরেজমিন পর্যবেক্ষণে দেখাযায়, ক্যাম্পাসে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সাধারণত যে সকল স্থানে অপরাধ এবং অনৈতিক কাজ বেশি হয়ে থাকে সে স্থানগুলোতে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ক্যামেরাগুলো দিনে-রাতে সমান ভাবে ভিডিও ধারণ এবং তা সংরক্ষণ করতে সক্ষম। সদ্য অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া চতুর্থ সমাবর্তন উপলক্ষে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসব ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এগুলো এখন থেকে স্থায়ীভাবে কাজ করবে বলে জানায় কতৃপক্ষ।
ক্যামেরাগুলো উচ্চ জুম ক্ষমাত সম্পন্ন। একই সময়ে ক্যামেরাগুলো ৩৬০ ডিগ্রি এ্যঙ্গেলে কাজ করতে সক্ষম। অর্থাৎ একটি ক্যামেরা একসাথে চতুরদিকের ভিডিও চিত্র ধারণ করতে সক্ষম। কিছু ক্যামেরা প্রকাশ্যে দেখা যাবে আর কিছু ক্যামেরার অবস্থান কর্তৃপক্ষ ছাড়া অন্যকেউ জাননে না বলে দাবি করেন প্রশাসন।
ভিসি প্রফেসর ড. হারুণ উর-রশিদ আসকারী বলেন, ‘আমরা ক্যাম্পসটাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকতে চাই। ইতমধ্যে তা বাস্তবায়ন করেছে বর্তমান প্রশাসন। আবাসিক হলগুলোর সামনে-পেছনে, স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ক্যাম্পাসের আড়াল বা আবডাল বলে কিছু নেই। সবই এখন প্রশাসনের নজরে।’ মঙ্গলবার সমাবর্তন উত্তর ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় কালে এসব কথা বলেন তিনি।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ