নিজস্ব প্রতিবেদক:
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, সর্বশেষ সংশোধিত তালিকা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা এক লাখ ৮০ হাজার ৫১৩ জন। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য সেলিনা জাহান লিটার এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এই তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে সব উপজেলার গেজেটভুক্ত বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধার নামের তালিকা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।’
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার আগে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি স্বাক্ষরিত সনদ ইস্যু করা হয়েছিল। ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি স্বাক্ষরিত সনদ ইস্যু করে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।’
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মিলনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী বলেন, ‘৪৭০টি উপজেলা, জেলা, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির মধ্যে ৩৬০টি কমিটির প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। অপর ১১০টি কমিটির প্রতিবেদন মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে পাওয়া যায়নি। তবে প্রতিবেদনগুলো পাওয়ার বিষয়ে নতুন কমিটি গঠনসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে, এমন ব্যক্তিদের আপিল করার সুযোগ রয়েছে এবং তাদের আপাতত ভাতা চালু রাখা হয়েছে। তবে আপিল কমিটি যাচাই বাছাইয়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রমাণিত হলে, তাদের অনুকূলে প্রদানকৃত ভাতা বন্ধ করা হবে এবং ইতোমধ্যে তাদের গ্রহণকৃত ভাতা ফেরত নেয়া হবে।’
নতুন করে যেসব মুক্তিযোদ্ধা এখনো গেজেটভুক্ত হননি তাদের সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘নতুন মুক্তিযোদ্ধাদের নাম গেজেটভুক্ত হওয়ার পর তাদের নামে সম্মানি ভাতা প্রদানের কার্যক্রম শুরু করা হবে।’
ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করার লক্ষ্যে সরকার ২৭১ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি আবাসিক প্রকল্প বাস্তবায়িত করছে বলে জানান মন্ত্রী।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর