নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রীর ১০টি অগ্রাধিকার প্রকল্পের অন্যতম ‘আশ্রয়ন প্রকল্প’-এর মাধ্যমে দেশের এক লাখ ৭৫ হাজার ভূমি ও গৃহহীন পরিবার আশ্রয়ন ও জীবিকার সংস্থান হয়েছে।১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনটি পর্যায়ে এদের পুনর্বাসন করা হয়।
আজ রবিবার এখানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম নজিবুর রহমান বলেন, গৃহহীন লোকদের স্বাবলম্বী করে তুলতে আশ্রয় ও সহযোগিতার মাধ্যমে তাদের জীবন অর্থবহ করে তুলতে সরকার এই প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, রূপকল্প-২০২১ এবং ২০৩০ সাল নাগাদ টেকসই উন্নযন লক্ষ্যসমুহ (এসডিজি) অর্জনের জন্য এই প্রকল্প ভবিষ্যতে দারিদ্র্য নিরসনে আরো জোরদার ভূমিকা পালন করবে।
আশ্রয়ন প্রকল্প-২-এর প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম শামসুদ্দিন বলেন, ১৯৯৭ সাল থেকে তিনটি পর্যায়ে মোট ১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৮৩টি পরিবার পুনর্বাসন করা হয়েছে। ১৯৯৭ সালে প্রকল্প শুরু হয়, ২০১০ সালে প্রকল্প দু’টি সম্পন্ন হয়।
তিনি বলেন, ২০১০ সালে সরকার ৪ হাজার ৮৪০ দশমিক ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৯ সালের মধ্যে ২ দশমিক ৫০ লাখ পরিারের আশ্রয়নের ব্যবস্থা করতে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ গ্রহণ করে। একই সময়ে সরকার ৭ হাজার ৫৪৩টি ব্যারাক হাউস নির্মাণ করে এবং ৩৯ হাজার ৪২৫টি পরিবার সেখানে পুনর্বাসন করে। তারা নিজেদের বাড়ি নিজেরা নির্মাণ করেছে। ইতোমধ্যেই প্রকল্পের অধীনে মোট ৮০২টি গ্রাম বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছে এবং প্রকল্প এলাকায় প্রায় ৪ লাখ গাছ লাগানো হয়েছে। সেখানে তারা আয়বর্ধক কার্যক্রমের মাধ্যমে সুখী জীবনযাপন করছে এবং তাদের সন্তানরা স্কুলে যাচ্ছে।
সরকারের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা নিয়ে স্বাবলম্বী করে পুনর্বাসিত লোকদের মূল ধারায় নিয়ে আসতে প্রকল্পের অধীনে স্থানীয় সরকার বিভাগ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
আয়বর্ধক কার্যক্রমের মাধ্যমে মানব সম্পদে উন্নীত করতে এবং বিভিন্ন ইস্যুতে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে পুনর্বাসিত পরিবারের বয়স্ক নারী ও পুরুষদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। বাসস
দৈনিক দেশজনতা /এন আর