নিজস্ব প্রতিবেদক:
শীতের তীব্রতায় রাজশাহী অঞ্চলে ছড়িয়েছে শীতজনিত রোগ। বিশেষ করে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। ৩ থেকে ৭ জানুয়ারি দুপুুর পর্যন্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২৭১ জন শিশু।
এদের মধ্যে গতকাল শনিবার মৃত্যু হয়েছে চার শিশুর। এরা হলো- জেলার পুঠিয়ার আবু হানিফের চারদিন বয়সী শিশু কন্যা, নাটোর সদরের শাহজানের তিন দিন বয়সী শিশু কন্যা, নওগাঁর মান্দার সুনীল প্রামাণিকের দু’দিন বয়সী শিশুপুত্র এবং পাবনার চাটমোহরের শিমুল ইসলামের আড়াই মাস বয়সী শিশু পিয়াস।
আর এ কদিন হাসপাতালের বর্হিবিভাগে চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছে ৮১৪ জন শিশু।
শীতজনিত নিউমোনিয়া নিয়ে রামেক হাসপাতালের ১০নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন দু’মাস দশ দিনের শিশু জিসান। জিসান চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার প্রবাসী আব্দুস সামাদের ছেলে।
হাসপাতালে জিসানের মা জিনিয়া বেগম জানান, গত বারো দিন থেকে হাসপাতালে তারা। শীতে নিউমোনিয়া হয়েছে তার ছেলের। চিকিৎসায় এখন অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। ওই ওয়ার্ডে শীতজনিত নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে শিশুরা।
হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান ডা. ছানাউল হক বলেন, শীতজনিত ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কিলাইটিস, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছে শিশুরাা।
শীতে শিশু মৃত্যুর বিষয়ে তিনি বলেন, শুধু শীতজনিত কারণেই শিশুরা মারা যাচ্ছে-এটা ঠিক নয়। এমনিতেই শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম। শীতের সময় বিভিন্ন ভাইরাস ছড়িয়ে থাকে। বিভিন্ন ইনফেকশন, প্রিম্যাচিউরড বার্থ, অপুষ্টিজনিত সমস্যার সঙ্গে ঠান্ডা যুক্ত হওয়ায় শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল আলম জানান, রোববার রাজশাহীতে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এটিই চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তপমাত্রা। রোববার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতও দিনের তাপমাত্রা কমে আসায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।
রাজশাহীতে সপ্তাহজুড়েই তাপমাত্রা কমছে জানিয়ে তিনি বলেন, গত ১ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ