নিজস্ব প্রতিবেদক:
শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রশ্ন ফাঁসকে কেলেঙ্কারি আখ্যা দিয়ে এই সমস্যা সমাধানে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন নতুন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী। আর এক বছরেই এই সাফল্য চান তিনি।
মঙ্গলবার বঙ্গভবনে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথের পরদিন দপ্তর পেয়েছেন কেরামত আলী। তবে তিনি প্রথম মন্ত্রণালয়ের আসেন রবিবার সকালে।
কেরামত মন্ত্রণালয়ের আসার পর তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ডেপুটিকে স্বাগত জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদও।
কেরামত দায়িত্ব পেয়েছেন মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষা বিভাগে। তবে তিনি এই দুই বিভাগের বাইরে কাজ করতে চান প্রশ্ন ফাঁস বিষয়েও। আর বর্তমান সরকারের মেয়াদ আছে আর এক বছরের মতো। এই সময়ের মধ্যেই এ বিষয়ে সাফল্য দেখাতে চান কেরামত।
গত কয়েক বছর ধরে পাবলিক পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হচ্ছে প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে। মন্ত্রী নাহিদ নানা উদ্যোগ নিয়েও ঠেকাতে না পেরে হতাশার কথা জানিয়েছেন।
তবে কেরামত আলী বলছেন, প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে সাফল্য পাওয়ার আশায় আছেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা ব্যবস্থায় বর্তমানে প্রশ্নফাঁস একটি বড় কেলেঙ্কারি। এটি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আগামী বছর থেকে যাবে আর কোনোভাবে প্রশ্নফাঁস না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।’
নিজ দপ্তর কারিগরি বিভাগ নিয়ে অনেক দূর যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন প্রতিমন্ত্রী কেরামত। বলেন, ‘কারিগরি শিক্ষা দেশের মূল চালিকাশক্তি। এটিকে ঢেলে সাজাতে হবে। বেকারমুক্ত করতে কারিগরি শিক্ষার্থীরা পাস করে বেরিয়ে যাওয়ার আগেই একটি ট্রেডের উপর প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এ শিক্ষা ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজ করতে হবে। আমরা সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাব।’
আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একা সামলাচ্ছেন নাহিদ। এই প্রথম প্রতিমন্ত্রী পেলেন তিনি।
‘ডেপুটি’কে স্বাগত জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। এ সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমার কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখানে একজন ভালো নেতা, একজন ভালো কর্মীকে এখানে দিয়েছেন। আমি আশা করছি, দুই জনে মিলে আমাদের যে সমস্যাগুলো আছে, সেগুলো মোকাবেলায় কাজ করব।’ শিক্ষামন্ত্রীও বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি বড় মন্ত্রণালয়। এখানে কাজের পরিমাণ অনেক বেশি। এ কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দুটিভাবে ভাগ করা হয়েছে।’
‘আমরা কারিগরি শিক্ষাকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে আসছি। বর্তমানে দেশের ১৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। পর্যায়ক্রমে তা আরো বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে।’ অনুষ্ঠানের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের জনবল ও কক্ষ সংকট তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠান শেষে জাতীয়করণের দাবিতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির দাবি-দাওয়া সম্বলিত ধরে স্বারকলিপি গ্রহণ করেন প্রতিমন্ত্রী কেরামত আলী।
কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনন্থ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ