২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৬:৩৭

প্রতিষ্ঠাবর্ষিকীতেও ছাত্রলীগের লাঠি মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর পুঠিয়ায় লাঠি হাতে গতকাল শনিবার ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়েছে। সমাবেশ থেকে বক্তারা স্থানীয় সাংসদ আবদুল ওয়াদুদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেন। একই জায়গায় ছাত্রলীগের আরেক পক্ষ সভা আহ্বান করেছিল। তাদের মোকাবিলা করার জন্য লাঠি হাতে তাঁরা এই প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলেন। তবে প্রতিপক্ষ না এলেও পুলিশ তাঁদের উপজেলা গেটের পশ্চিম পাশে যেতে দেয়নি।
ইউএনও আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, দুপক্ষই উপজেলা গেটে বেলা তিনটায় সমাবেশ আহ্বান করেছিল। এ জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পক্ষকেই উপজেলা গেটের সামনে জায়গা দেওয়া হয়নি। এক পক্ষের অনুষ্ঠানের জন্য স্থানীয় সাংসদ কথা বলেছিলেন। তা ছাড়া শিমুল নামের এক ছাত্রনেতা যোগাযোগ করেছিলেন। অপরপক্ষের সমাবেশের জন্য জেলা আওয়ামী লীগের নেতা আহসান উল হক ওরফে মাসুদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুর রহমান যোগাযোগ করেছিলেন।
গতকাল বিকেলে পুঠিয়ায় গিয়ে দেখা যায়, ইউএনও পুলিশ নিয়ে উপজেলা গেটের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। আর পূর্ব পাশে তাহেরপুর সড়কের মাথায় ইক্ষু ক্রয়কেন্দ্রের মাঠে আহসান উল হকের পক্ষের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নেতা-কর্মীরা বাঁশের লাঠি ও পাইপ হাতে নিয়ে এসেছেন। তাঁরা উপজেলা গেটের কাছাকাছি এলে পুলিশ তাঁদের বাধা দিলে তাঁরা ফিরে গিয়ে ইক্ষু ক্রয়কেন্দ্রের মাঠে সমাবেশ করেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান উল হক ওরফে মাসুদ, পৌর আওয়ামী লীগের সম্পাদক শাহরিয়ার রহিম ওরফে কনক, উপজেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক আবুল ফজল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, যখনই ছাত্রলীগ পুঠিয়ায় কোনো কর্মসূচি দেয়, তখনই সাংসদ পুলিশ দিয়ে সেই কর্মসূচি বানচাল করার চেষ্টা করেন। আহসান উল হক বলেন, সাংসদ ওয়াদুদ নিজে বলে বেড়ান, তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন। তাঁরা জানতে চান, কবে ছাত্রলীগের কোন কমিটিতে তিনি ছিলেন, তা বলতে হবে। ওয়াদুদ নিজেকে শিল্পপতি দাবি করেন। অথচ তিনি পুঠিয়া ও দুর্গাপুরে স্কুল-কলেজে নিয়োগ-বাণিজ্য করেন, খাদ্যগুদামে কৃষকদের গম না নিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গম নিয়ে তা থেকে কমিশন খান।
অপরপক্ষের আয়োজক শিমুল নামের ছাত্রনেতার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি একবার ফোন ধরে নিজেকে এস এম শিমুল বলে পরিচয় দেন। সমাবেশ আহ্বানের বিষয়ে কথা তোলার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ফোন কেটে দেন। পরে ফোন ধরেননি। সাংসদ আবদুল ওয়াদুল বলেন, তিনি কিছুই জানেন না। ছাত্রলীগের সমাবেশের ব্যাপারে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের ব্যাপারে তিনি মাথা ঘামান না। লাঠিসোঁটা নিয়ে সমাবেশ করার ব্যাপারে তিনি বলেন, এটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দেখার দায়িত্ব।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :জানুয়ারি ৭, ২০১৮ ১:০২ অপরাহ্ণ