২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৯:২১

১৬৫ কোটি টাকা পাচার, এবি ব্যাংকের ৬ পরিচালক দুদকে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে এবি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ছয় সদস্যকে  দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয় বলে জানান দুদকের জনসংযোগ দপ্তরের কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য। এর আগে সকাল ৯টায় দুদক কার্যলয়ে এসে পৌঁছান ব্যাংকটির পরিচালকরা।

পূর্বের নোটিশ অনুযায়ী রোববার সকালে এবি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ছয় সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুদক। পরিচালকরা হলেন- শিশির রঞ্জন বোস, মেজবাহুল হক, ফাহিমুল হক, সৈয়দ আফজাল হাসান উদ্দিন, রুনা জাকিয়া ও মো. আনোয়ার জামিল সিদ্দিকী। দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন ও সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার এবি ব্যাংকের অর্থ পাচারের অভিযোগটি অনুসন্ধান করছেন।

এর আগে অর্থ পাচারের ওই অভিযোগে গত ২৮ ডিসেম্বর ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফজলার রহমানকে এবং ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংকটির সাবেক এমডি শামীম আহমেদ চৌধুরী ও ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড ট্রেজারি শাখার প্রধান আবু হেনা মোস্তফা কামালকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে গত ২ জানুয়ারি ব্যাংকটির পাঁচ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

তারা হলেন- ব্যাংকের হেড অব করপোরেট মাহফুজ উল ইসলাম, হেড অব অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট (ওবিইউ) মোহাম্মদ লোকমান, ওবিইউর কর্মকর্তা মো. আরিফ নেয়াজ, কোম্পানি সচিব মাহদেব সরকার সুমন ও প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা এমএন আজিম।

জানা যায়, সিঙ্গাপুর ভিত্তিক একটি অফসোর কোম্পানি খোলার নাম করে দুবাইয়ের পিজিএফ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে ১৬৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ব্যাংকটির ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় ঊর্ধ্বতন ১২ কর্মকর্তাকে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুদক।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :জানুয়ারি ৭, ২০১৮ ১২:২২ অপরাহ্ণ