নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করে বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ১৫৩টি আসনে তো কোনো ভোটই হলো না এবং সেই ১৫৩টি আসনে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা, তারা মন্ত্রী হলো। সংবিধান সংশোধন করল! হাউ ইজ দ্যাট পসিবল?
আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি তার সন্দেহের কথা জানান।
বি. চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ বলেছিল, অচিরেই নির্বাচন দেওয়া হবে, নির্বাচন দেওয়া হয় নাই। বড় বড় মন্ত্রীরা বলেছিলেন। সেই নির্বাচন আমরা দেখতে পাইনি। এক, দুই, তিন, চার বছর পার হয়ে গেল। এখন পঞ্চম বছরে আবার শুরু হয়েছে যাত্রা। এই যাত্রায় আমাদের কোথায় নিয়ে যাবেন, সে সম্বন্ধে লোকজন যে সন্দেহ করেন, সন্দেহ স্বাভাবিক। কারণ কেননা আপনারা কথা রাখেন নাই। যে কথা রাখে না, তার সম্পর্কে কথা বলা কঠিন।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই জয় পেয়েছিলেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থীরা। সেই নির্বাচন বর্জন করেছিলেন বিএনপি। তবে সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সেই নির্বাচন করেছিল তৎকালীন সরকার।
শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন,এ দৃশ্য জাতির জন্যও লজ্জার: বি. চৌধুরী
বিকল্পধারার সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, দাবি আদায়ে আমরণ অনশনে বসে অনেক শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এ দৃশ্য দেখা শুধু আমার নয়, জাতির জন্যও লজ্জার। এখন দেখার সরকার আদৌ লজ্জা পায় কিনা।
আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের আমরণ অনশন কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে তিনি একথা বলেন।
বি. চৌধুরী বলেন, আজ শিক্ষকদের থাকার কথা ছিল ক্লাস রুমে। অথচ তারা বেতনের জন্য আজ রাস্তায় দিন পার করছেন। এটা জাতির জন্য দুঃখ ও হতাশার।
বিকল্পধারা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এসে শিক্ষকদের আমরণ অনশনে সংহতি প্রকাশ করছেন। আজ শুক্রবার সংহতি প্রকাশ করেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার এমপি, মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষক সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা এস এম আব্দুল জলিল, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তাফা প্রমুখ।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ