নিজস্ব প্রতিবেদক:
বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক এবং জাতীয় বিভিন্ন দিবস লিখিতভাবে না মানা পর্যন্ত প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ও জাতীয় নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়েছে।বুধবার মো. শহিদুল ইসলাম নামের এই আইনজীবী রিটটি করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের সভাপতি।রিটকারীর আইনজীবী মো. মোজাম্মেল হক জানান, বৃহস্পতিবার বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এই রিটের উপর শুনানির কথা রয়েছে।
রিটকারী আইনজীবী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস হচ্ছে আমাদের মূল ভিত্তি।’ তিনি বলেন, ‘এসব দিবস প্রত্যেক রাজনৈতিক দলসহ সব নাগরিকের জন্য পালন বাধ্যতামূলক করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এসব দিবস পালনে ব্যর্থ হলে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন বাতিল এবং এসবের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট করা হয়েছে।’ প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে নবম জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ অধিকাংশ দলই বর্জন করে।
তবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্রসহ ১৭টি দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা বিজয়ী হওয়ায় নির্বাচনটি নিয়ে অনেক ‘বিতর্ক’র সৃষ্টি হয়। ইতোমধ্যে সারাদেশে একাদশ নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো প্রকাশ্যে ভোট চাওয়া শুরু করেছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের শেষের দিকে হবে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ