আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
দলিত সম্প্রদায় ও তাদের রাজনৈতিক দলের ডাকা বিক্ষোভে উত্তাল ভারতের মহারাষ্ট্র। প্রয়াত দলিত নেতা ও ভারতের সংবিধানের স্থপতি বিআর আম্বেদেকারের নাতি ও বারিপা বহুজন মহাসংঘের প্রধান প্রকাশ আম্বেদেকার এই বনধের ডাক দিয়েছেন। এই বনধকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে আগাম ব্যবস্থা হিসেবে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। বুধবার সকাল থেকেই বারিপা বহুজন মহাসংঘের ডাকা এই বনধে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে মুম্বাই, পুনাসহ রাজ্যের বিভিন্ন ব্যস্ত শহরে। বন্ধ রয়েছে বেশির ভাগ স্কুল, কলেজ। সকালে থানে এলাকায় ট্রেন বন্ধের চেষ্টা করেন একদল বনধ সমর্থক। কোনও কোনও জায়গায় বাস ভাঙচুরের অভিযোগও উঠেছে।
মুম্বাইয়ে বনধ মোকাবিলায় প্রায় ২১ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মুম্বাইয়ে বেশির ভাগ দোকানপাট, অফিস খোলা থাকলেও পুনা ও নাগপুরের অধিকাংশই এলাকাই বন্ধ। সোমবার পুনা জেলার ভিমা কোরেগাঁও এলাকায় দলিতদের কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু হয়। তার জেরে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে পুনা, মুম্বাই, নাগপুরসহ মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায়। ব্যাপক অশান্তির জেরে আহমেদনগর, ঔরঙ্গাবাদসহ নানা এলাকার বাস পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। পুনা, মুম্বাই এবং থানের সঙ্গে মহারাষ্ট্রের অন্যান্য জেলার সড়ক যোগাযোগ প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার কারণে থানে এলাকার অনেক স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফাদনাবিশ। সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে তার কাছে খোঁজখবর নেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। বনধকে শান্তিপূর্ণ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রকাশ অম্বেডকরও। তবে বুধবার বিকালে টাইম অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বারিপা বহুজন মহাসংঘের প্রধান প্রকাশ আম্বেদেকার বনধ তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি