২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৮:২৯

গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনাই বড় চ্যালেঞ্জ : মির্জা আলমগীর

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা আগেও বলেছি এই বছরে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা এবং একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সবার কাছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।

সোমবার বিকেলে শেরেবাংলা নগরস্থ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিককের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির অন্যতম সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এই শ্রদ্ধা নিবেদনের আয়োজন করা হয়।

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে সরকারের সাথে বিএনপি সংলাপ চায় জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সব সময় সংলাপ চেয়েছি। আমরা মনে করি যে, সংলাপ ছাড়া কোনো সমস্যারই সমাধান হবে না। কারণ সরকার যে অবস্থান নিয়ে আছে, সেই অবস্থান হচ্ছে তারা তাদের একদলীয় শাসনব্যবস্থাকে পাকাপোক্ত করার জন্য কোনো আলোচনা ছাড়াই তাদের সেই তথাকথিত সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করতে চায়। যা এদেশের মানুষ মেনে নেবে না। এদেশের মানুষ মনে করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

২০১৮ সালে বিএনপির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ কোনটি সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ বছরের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা এবং একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। আমরা মনে করি, ২০১৮ সাল হচ্ছে জনগণের বছর, গণতন্ত্রের বিজয়ের এবং জনগণই সেটা প্রতিষ্ঠা করবে।

 

স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল নন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করতে প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শিক্ষকদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।

৫ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, একটা অপরিচিত নাম-গোত্রহীন ইসলামিক পার্টিকে যেদিন সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে একটা সমাবেশ করবার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর থেকে প্রমাণিত হয় এই সরকার আসলে গণতন্ত্রকে হত্যা করে চলেছে এবং ভবিষ্যতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবার সমস্ত উদ্যোগে তারা বাধা প্রদান করবে।

আজ নতুন বছরের প্রথম দিনে ঠাকুরগাঁও, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, নাটোরসহ বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশ-শোভাযাত্রাসহ কর্মসূচিতে পুলিশি হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সারাদেশে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানে পুলিশ বিনা উস্কানিতে আক্রমণ চালিয়েছে। পুলিশের গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে কৃষিবিদ তুহিনকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নেয়া হয়েছে। ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল পৌরসভার সাধারণ সম্পাদক মোমিন মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে এখন মৃত্যুর মুখোমুখি। অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হয়েছে এবং গ্রেফতার করা হয়েছে, মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। আমরা এর নিন্দা জানাই

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, সিনিয়র সহ সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন, সহ সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, নাজমুল হাসান, আবু আতিক আল হাসান মিন্টু, যুগ্ম সম্পাদক কাজী মোকতার হোসেন, দফতর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ।

দৈনিক দেশজনতা /এন আর

প্রকাশ :জানুয়ারি ১, ২০১৮ ৭:৫০ অপরাহ্ণ