২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৯:১৯

যৌন নির্যাতনের শিকার ৫১ মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

মাঝেমধ্যেই কাগজের টুকরো পড়ে থাকতে দেখা যেত মাদ্রাসার পাশের রাস্তাটায়। কেউ তেমন গা করেননি। হয়তো ভেবেছিলেন, আবাসিক মাদ্রাসার বাচ্চা মেয়েগুলোর কাজ। সত্যিই তাই। মাদ্রাসার জানালা দিয়ে উড়ে আসা একটা কাগজের গোলা এক দিন সোজা গিয়ে লাগল এক পথচারীর গায়ে। কাগজের মোড়কটা খুলে স্তম্ভিত হয়ে যান লোকটি। ভিতরে লেখা ছিল— ‘আমাদের বাঁচান’। দেরি না করে তিনি খবর দিয়েছিলেন মাদ্রাসার মালিককে। তারপর তিনি যোগাযোগ করেন পুলিশের সঙ্গে।

শুক্রবার রাত ৯টার দিকে প্রশাসন ও পুলিশের একটি যৌথ বাহিনী হানা দেয় ওই মাদ্রাসায়। উদ্ধার করা হয়েছে ৫১ জন নাবালিকাকে। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে উত্তর প্রদেশের রাজধানী লক্ষ্ণৌয়ের পুরোনো শহরের সাদতগঞ্জের ইয়াসিনগঞ্জ এলাকার জামিয়া খাদিজাতুল লিলানওয়াত মাদ্রাসার হোস্টেল সুপার কাজী মোহাম্মদ তৈয়ব জিয়াকে। তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অত্যাচার, যৌন হেনস্থা, ধর্ষণের চেষ্টার মতো অভিযোগ জানিয়েছে ছাত্রীরা।

উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চল, তাছাড়া অন্যান্য রাজ্য থেকেও ওই মাদ্রাসায় ভর্তি হতে আসত ছাত্রীরা। মোট ছাত্রীসংখ্যা ছিল ১২৬। তার মধ্যে শুক্রবার ওই সময়ে মাদ্রাসায় ৫১ জন ছাত্রী ছিল। এসএসপি দীপক কুমারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বড় দল মাদ্রাসায় হানা দিলে হইচই পড়ে যায়। পালাতে পারেনি কাজী। তাকে ধরে ফেলে পুলিশ।

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, মাদ্রাসার ভিতরে যে এই কাজ চলছে, তার কিছুই জানতেন না বলে দাবি করেছেন মাদ্রাসা মালিক। তিনি ওই মাদ্রাসা থেকে বেশ কিছুটা দূরে অন্যত্র থাকতেন।

দীপক কুমার বলেন, ‘গোমতী নগরের বাসিন্দা ১৫ বছরের এক কিশোরী লিখিত অভিযোগে জানিয়েছে, তাদের ওপর যৌন হেনস্থা করত ওই কাজী। আরও ৭ ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ জানিয়েছে সে।’ উদ্ধার হওয়া আর এক ছাত্রী জানিয়েছে, কাজীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে রাজি না হলেই মারধর করা হতো তাদের। উদ্ধার হওয়া ছাত্রীদের আপাতত হোমে পাঠানো হয়েছে।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :ডিসেম্বর ৩১, ২০১৭ ৩:৩৫ অপরাহ্ণ