নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাগেরহাটের শরণখোলা থেকে নিষিদ্ধ ১০ কেজি হরিণের মাংসসহ দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতে শরণখোলা উপজেলার সাউথখালি ইউনিয়নের উত্তর বকুলতলা গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় শনিবার সকালে শরণখোলা থানার উপ-পরিদর্শক আবুল বাশার তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তারা হলেন, শরণখোলা উপজেলার সাউথখালি ইউনিয়নের দক্ষিণ তাফালবাড়ি গ্রামের জাফর তালুকদার ও রায়েন্দা গ্রামের শামছুল ইসলাম রিপন। এরমধ্যে জাফর তালুকদার সাউথখালি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং শামছুল ইসলাম রিপন ওই ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সভাপতি।
দলের নেতা স্বীকার করে শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির বাবুল বলেন, হরিণ শিকার করে তারা জঘন্য অপরাধ করেছে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করিরুল ইসলাম বলেন, সুন্দরবন থেকে শিকার করে নিয়ে আসা হরিণের মাংস নিয়ে তিন ব্যক্তি মোটরসাইকেলযোগে শরণখোলা উপজেলার সদরে আসার গোপন সংবাদ পেয়ে পুলিশ বকুলতলা এলাকায় অবস্থান নেয়। এসময় ওই তিনজন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ ধাওয়া করে দুইজনকে ১০ কেজি হরিণের মাংসসহ ধরে ফেলে। অপরজন মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া দুজনই আওয়ামী লীগ নেতা। তারা সুন্দরবন থেকে একটি হরিণ শিকার করে তা জবাই করে বিক্রির জন্য উপজেলা সদরে আসছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের স্বীকার করেছে। তবে কোথায় বসে হরিণটি জবাই করা হয়েছে তা তারা স্বীকার করেনি।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ