২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৬:৫২

আজ আবার আদালতে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দুর্নীতি দমন কমিশনের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে আজ আবারও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হবে। বুধবার বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন। এ নিয়ে চতুর্থ দিনের মতো খালেদার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করবেন তার আইনজীবীরা।

গতকাল মঙ্গলবার তৃতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান। তিনি মামলায় দাখিল করা নথিপত্র থেকে যুক্তি উপস্থাপন করেন।

আদালতে তিনি বলেন, এই মামলার দুইটি অংশ। এক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কিছু কাগজপত্র। দুই. সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের কিছু নথিপত্র। কিন্তু সোনালী ব্যাংকের একটি নথিও এখানে আসে নাই। ব্যাংক থেকেও বলে দেয়া হয়েছে পুরোনো কাগজপত্র নেই। আর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে যারা সাক্ষী দিয়েছেন তারা বলেছেন, মূল ফাইল কোনো দিন তারা দেখেন নাই।

বেগম খালেদা জিয়ার বাসার ঠিকানা ব্যবহারের বিষয়ে বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী আদালতে বলেন,মইনুল রোডে বেগম খালেদা জিয়া কয়েক দশক ধরে তাদের সন্তানদের নিয়ে বসবাস করে আসছেন। কেউ যদি তার বাসার ঠিকানা ব্যবহার করেন তাহলে কি তার দায় বেগম খালেদা জিয়ার উপর বর্তায়? এখানে সবাই স্বাধীন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি মামলাটি বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে করা হয়েছে।

বকশিবাজারের আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত বিশেষ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন চলছে।

গত ১৯ ডিসেম্বর এ মামলার যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষ ১৯ ডিসেম্বর তাদের যুক্তি উপস্থাপন শেষ করে  খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন করেন। পরে ২০ ডিসেম্বর বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন তার আইনজীবী আব্দুর রেজাক খান। ওই দিন শেষ না হওয়ায় ২১ ডিসেম্বর পরবর্তী যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য করেন আদালত। ২১ ডিসেম্বর খালেদার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় ২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর পরবর্তী যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।

এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ মামলাটি করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলাটি করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

অন্যদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে বেগম  খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭ ৯:৫৯ পূর্বাহ্ণ