গাজীপুরের শ্রীপুরে আগুন নেভার পর ঘর থেকে (৭) বয়সী শিশুর পোড়া কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার অনুমানিক রাত ৮ টার দিকে পৌর এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সুতাপাড়া গ্রাম থেকে আগুনে পোড়া শিশুর কঙ্কাল উদ্ধার করে। পুড়ে যাওয়া শিশুটির নাম সায়ক হোসেন (৭)। সে ওই গ্রামের হাবিবুর রহমান ওরফে হাবির ছেলে। সায়ক পাশের বেকাসহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল। দগ্ধ হযরত আলীকে (৭০) শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসাকরা জানিয়েছেন।
হযরত আলীর ছেলে আবুল খায়ের জানান, তাঁদের বাড়ি পৌর এলাকার উজিলাব গ্রামে। পাশের সুতাপাড়া গ্রামে তাঁর বোনের বাড়ি। সেখানে তাঁদের ধানি জমি রয়েছে। কয়েক দিন ধরে ওই জমির ধান কাটা ও মাড়াই চলছিল। সেখানে ধান পাহারা দেওয়ার জন্য খড় দিয়ে অস্থায়ী ঘর তৈরি করে তাঁর বাবা নাতিকে নিয়ে রাতে থাকতেন। তিনি জানান, রোববার সন্ধ্যায় ওই ঘরে মশার কয়েল জ্বালান তাঁর বাবা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কয়েল থেকে ওই ঘরে আগুন লাগে। এতে তাঁর বাবা ওই ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে পারলেও শিশু সায়ক ঘটনাস্থলে দগ্ধ হয়ে মারা যায়। শ্রীপুর পৌরসভার কাউন্সিলর বিল্লাল হোসেন বলেন, চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন গিয়ে হযরত আলীকে উদ্ধার করতে পারলেও সাড়া না পাওয়ায় শিশুটিকে কেউ উদ্ধারে করতে পারেনি। আগুন নেভার পর ঘর থেকে শিশুটির পোড়া কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন বলেন, ‘শিশুটির পোড়া কঙ্কাল উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।