আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানা ‘তেমবিন’ ঝড়ের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে ২০০ লোকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় বহু লোক নিখোঁজ। শুক্রবার ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাওয়া ‘তেমবিন’ ঝড়ের জোরালো ঝাপটায় ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় মিন্দানাও দ্বীপে ভূমিধস ঘটে। আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। খবর বিবিসির। মিন্দানাও দ্বীপের তুবদ ও পিয়াগাপো শহর দুটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানকার অসংখ্য ঘরবাড়ি বোল্ডারের নিচে চাপা পড়ে আছে। সরকার লানাও দেল নর্টে ও লানাও দেল সার এলাকাসহ বেশ কিছু এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। তুবদের পুলিশ কর্মকর্তা গ্যারি পারামি বলেন, শহরের লানাও দেল নর্টে এলাকায় অন্তত ১৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। তিনি বলেন, ‘নদীর পানি দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে। ঘরবাড়ি ভেসে যাচ্ছে। সেখানে আর কোনো গ্রাম অবশিষ্ট নেই।’ ওই অঞ্চলের দালামা গ্রামে স্বেচ্ছাসেবীরা উদ্ধারকাজ করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ফিলিপাইনের তুবদ শহরের লানাও দেল নর্টে এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারে কাজ করছেন স্থানীয় ব্যক্তিরাও। সারিপাদা পাকাসাম নামের একজন কর্মকর্তা বলেন, তুবদ থেকে ১০ কিলোমিটার পূর্বে পিয়াগাপো শহরে এই বন্যার কারণে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। সেখানে উদ্ধারকর্মী পাঠানো হয়েছে। তবে পাথুরে এলাকা হওয়ায় উদ্ধারকর্মীদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।
ফিলিপাইনের সিবুকো ও সালুগ শহরে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। প্রায় সব ধরনের যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এ কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। প্রায় এক সপ্তাহ আগে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় এলাকায় কাই-তাক নামে একটি ঝড় আঘাত হানে। এতে কয়েক ডজন মানুষের প্রাণহানি হয়। ২০১৩ সালে ঘূর্ণিঝড় হাইয়ানের আঘাতে দেশটিতে কমপক্ষে পাঁচ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। কয়েক লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি