নিজস্ব প্রতিবেদক:
ছাত্রলীগের স্কুল কমিটি বিলুপ্তির নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ছাত্রলীগের গুণগত অভিজ্ঞতার কিছু কিছু বিষয় নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। এসময় তিনি ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে উদ্দেশ্যে করে এই স্কুল কমিটি দ্রুত বিলুপ্ত করার নির্দেশ দেন। শনিবার দুপুরে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ছাত্রলীগ। ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্রলীগের স্কুল কমিটি, এই কনসেপ্টটাই ঠিক নাই। এমনিতেই ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের পিঠে বই-পুস্তকের বোঝা, তার ওপর রাজনীতির বোঝা চাপানোর দরকার নেই। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ছাত্র রাজনীতি থাকতে পারে। আলোচনা সভাটি বাংলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজন করায় ছাত্রলীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই ছোট মিলনায়তনে একটি হল শাখা ছাত্রলীগের কমিটির নেতা-কর্মীদের স্থান সংকুলান হয় না।
প্রসঙ্গত, গত ২১ নভেম্বর মাধ্যমিক স্কুলে কমিটি তৈরি করতে সব সাংগঠনিক ইউনিটকে নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশ দেয়া হয়। ছাত্রলীগের এই নির্দেশ পেয়ে বিভিন্ন স্কুলে কমিটিও হয়। এরপর পিরোজপুরে একটি স্কুলের ছাত্রলীগ কমিটির সভাপতি দায়িত্ব পেয়েই শিক্ষককে পেটায় এক ছাত্র।
এই প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোমলমতি বাচ্চাদের কাজ পড়াশোনা করা। রাজনীতি না। কমিটি গঠন অন্ধের হাতে তীর-ধনুক দেয়ার মতো একটি কাজ। এটা ছাত্রলীগের অজ্ঞতা এবং অভিজ্ঞতার অভাবে হয়েছে। এসময় ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সময় তারা মাথা নিচু করে ছিলেন। পরে তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে সাংবাদিকদের সাথে কথা কাটাকাটি করে চলে যান তারা। রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সমালোচনা করে কাদের বলেন, অনেকে আদাজল খেয়ে রাজনৈতিক কারণে নেমে দাঁড়িয়েছে আমাদের (আ’লীগ) বিরুদ্ধে। সেটা আমরা বুঝি। ফার্স্ট পেজ, ব্যাক পেজ সরকারের বিরুদ্ধে যা লেখা যায়!
তিনি বলেন, বিএনপি একটি অদ্ভূত দল। তারা জিতলে বলে নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা আছে। হেরে গেলে বলে আস্থা নেই। আপনারা তো রংপুরে থার্ড হয়েছেন। বুঝতে পারছেন না যে জনগণ আপনাদের আর চায় না।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ