নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিষমুক্ত নিরাপদ মৌসুমি ফলের দাবিতে ১০টি সুপারিশ করেছে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচির মাধ্যমে এ সুপারিশ তুলে ধরে সংগঠনগুলো।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), বাংলাদেশ স্কাউট ও গাইড ফেলোশিপ, বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদ, নাসফ, পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চ, পল্লীমা গ্রিন, ইয়ুথ সান এবং মডার্ন ক্লাব এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে।
সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে- খাদ্যনিরাপত্তায় কৃষি উৎপাদন থেকে জোগানের প্রতিটি ধাপে পরিবেশসম্মত ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা, খাদ্যে ক্ষতিকর সব ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার বন্ধ করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ; নিরাপদ খাবার তৈরি, বিপণন ও বিক্রি এবং জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বিদ্যমান আইনগুলোর যথাযথ ও সমন্বিত প্রয়োগ নিশ্চিত করা।
বিশেষ করে নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ এবং ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৫ দ্রুত বাস্তবায়ন করা; প্রতি জেলায় খাদ্য আদালত স্থাপন এবং জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজনীয়সংখ্যক খাদ্য পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা; প্রতিটি জেলায় কৃষি আদালত গঠন করা।
সুপারিশে আরও বলা হয়, সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ রাসায়নিক পদার্থের আমদানিকারক ও ব্যবহারকারী এবং লেবেল ছাড়া বা মিথ্যা লেবেলের অধীন কীটনাশক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সময়োপযোগী কীটনাশক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করা, দেশের চাহিদা অনুযায়ী টিসিবির মাধ্যমে ফরমালিন আমাদানি করা, খাদ্যে ভেজাল নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদারকরণ এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ করা, দেশে জৈব কৃষি ব্যবস্থার প্রচলন ও একে জনপ্রিয় করে তোলা।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন পবা’র সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুস সোবহান। সভা পরিচালনা করেন পবার যুগ্ম সম্পাদক এম এ ওয়াহেদ।
সভাপতির বক্তব্যে পবা’র সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুস সোবহান বলেন, প্রথমত ভোক্তা আইন ২০০৯, নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এবং ফরমালিন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৫ জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় সঠিক প্রয়োগ নেই। এই আইনগুলোর আওতায় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতর এবং নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠন হয়। সার্বিকভাবে এই সংগঠনগুলোর কার্যক্রম হচ্ছে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা।
পবা সম্পাদক বলেন, শিশুসহ গর্ভবতী মা ও সর্বস্তরের জনগণের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়নের জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানানো হয়।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর