নিজস্ব প্রতিবেদক:
এটা কোনো মুদি দোকান নয়, এটা চকবাজার বা পাটুয়াটুলীর কোনো পাইকারি দোকান নয়, এটা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মামলা। মাননীয় আদালতকে এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আইনজীবী আবদুর রেজ্জাক খান বৃহস্পতিবার সাক্ষীদের যুক্তিতর্ক খণ্ডনকালে এসব কথা বলেন। রাজধানীর বকশী বাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে তৃতীয় দিনের মতো সাক্ষীদের যুক্তিতর্কের এক পর্যায়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সিনিয়র এই আইনজীবী আরও বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ রিপোর্ট না অসম্পূর্ণ রিপোর্ট এর তদন্ত মাননীয় আদালত আপনার ওপর। কোনো সাক্ষীর মুখ থেকে আসেনি প্রধানমন্ত্রী (তৎকালীন) বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। এর কোনো দালিলিক প্রমাণও নেই। এমনকি কেউ মুখেও বলতে পারেননি যে, প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়ার কথায় একাউন্ট খোলা হয়েছে। তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, তার একটি রাজনৈতিক জীবন আছে। যাতে এই মামলার মাধ্যমে কোলাহল সৃষ্টি করা হয়েছে।’
গত মঙ্গলবার থেকে এই মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়েছে। এ দিন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুদক।
২০১০ সালের ৫ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল (ইকোনো কামাল), ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ