২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৬:২৫

যতই ঘুরতে থাকেন কোনো লাভ হবে না, আপনার সময় শেষ : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের মূলমন্ত্র গণতন্ত্র বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে তাদের মূলমন্ত্র হলো চুরিতন্ত্র। প্রতিটি ব্যাংকে চুরি করে এমন একটি অবস্থা তৈরি হয়েছে যে ব্যাংক আমানতকারীরা বলছেন, ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি। সরকার দেশের অর্থনীতি, বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সরকার তাদের সব আত্মীয়-স্বজনকে ব্যাংক দিয়েছে। সরকার অন্তঃসারশূন্য। ইসলামী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক সরকার গিলে ফেলেছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংককেও গিলে ফেলছে। দেশের রেমিট্যান্স কমতে শুরু করেছে। গার্মেন্টস সেক্টরে লোকসান গুণতে হচ্ছে। প্রথম শ্রেণি থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত প্রশ্নপত্র ফাঁস। চাকরি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে। মানুষ যাবে কোথায়?

গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপি আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড.আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।

সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, পদ্মা সেতুর তলানি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আর ওটা নাকি সরকারের স্বপ্ন। এদিকে মগবাজার ফ্লাইওভারের ব্যয় তিনশো থেকে ১৮শ’ কোটিতে চলে গেছে। সরকারের প্রতিটি মেগা প্রজেক্ট হলো মেগা চুরির প্রকল্প। ছোটবেলায় বাচ্চারা না ঘুমালে মায়েরা গান শোনাত, ছেলে ঘুমালো পাড়া জুড়ালো, বর্গি এলো দেশে। দেশে বর্গী চলে এসেছে, সব লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। বর্গি দেশের মধ্যে এসে গেছে। এ অবস্থা তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ। সেই আওয়ামী লীগ আবার সততার কথা বলে।

ফখরুল ইসলাম বলেন, সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে মিথ্যা তথ্যের প্রমাণ দিতে পারেন নি বলেই উকিল নোটিশ দেয়া হয়েছে। ভুয়া কাগজ, ভুয়া টেলিভিশন-অনলাইন দিয়ে আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের কথা বলে। আমরা বলেছি, প্রমাণ করেন। পারেননি। ৩০ দিনের মধ্যে প্রমাণ করতে না পারলে, আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এত সোজা না। সবাইকে শুধু বোকা বানিয়ে যাবেন না। বাংলাদেশের মানুষকে এত বোকা ভেবে লাভ নেই। আইয়ুব খান, এরশাদ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে নাই, আপনিও পারবেন না। এসব বাদ দেন। যতই ঘুরতে থাকেন কোনো লাভ হবে না, আপনার সময় শেষ।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ২০১৪ সালের মতো দেশে আরেকটি নির্বাচনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। দু’টি মামলার মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে অযোগ্য করতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, তা পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেয়া হবে না।

ড. মোশাররফ বলেন, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। সব দলের অংশগ্রহণে হতে হবে। সেই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে। সারা দেশে রব উঠেছে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। আব্দুল মঈন খান বলেন, দেশে একদলীয় শাসন চলছে। বারবার সংবিধানের দোহাই দিয়ে গণতন্ত্র থেকে পালিয়ে যাওয়া যাবে না। এই সত্যটি প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপি চারদিকে শত্রু পরিবেষ্টিত। নিজেদের শক্তি নিয়ে জ্বলে উঠতে হবে। জাতীয়বাদী শক্তিকে ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে। সব প্রতিরোধের মুখে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে এগিয়ে যেতে হবে।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :ডিসেম্বর ২১, ২০১৭ ১:০৪ অপরাহ্ণ