নিজস্ব প্রতিবেদক:
একটি মামলা বেআইনিভাবে নথিজাত করার অভিযোগে ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা হককে পুনারায় বিচাররিক পদে না বসানোর সুপারিশ করেছে আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ দায়রা জজ ও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রহমান সরদার মামলাটির রায়ে এ সুপারিশ করেন।
রায়ে ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে রায়ের অনুলিপি পাওয়ার পর ওই ম্যাজিস্ট্রেটকে বিচারিক ক্ষমতা থেকে প্রত্যাহারের পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রায়ে বিচারক উল্লেখ করেন যে, মামলায় বাদীপক্ষে তিনজন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেন। তারপরও মামলাটিতে কিভাবে রায় প্রদান না করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা হক মামলাটি নথিজাত করলেন তা আদালতের নিকট বোধগম্য নয়। তিনি সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে মামলাটি নথিজাত করেন। আইন বিষয়ে অজ্ঞ এ ধরনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিচার কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে নিয়োজিত থাকলে বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষ আইনগত অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তাই তার আদালতে বিচারক হিসেবে থাকাটা সমীচিন নয়। এছাড়া বেআইনিভাবে মামলাটি নথিজাত করার আদেশ বাতিল করা হলো। আদেশ প্রাপ্তির পর যত দ্রুত সম্ভব মামলাটি বিধি মোতাকে নিষ্পত্তি করা হোক।
প্রসঙ্গত, আলাউদ্দিন আল মাসুম নামের এক ব্যক্তি ২০১২ সালের ১০ মে ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্পত্তিসংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি করার পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সম্পত্তির দখল বিষয়ে তদন্তের জন্য ভাটারা থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। থানা প্রতিবেদন দাখিলের পর দ্বিতীয় পক্ষকে নোটিশ দেয় ওই আদালত। পরে দ্বিতীয়পক্ষ জবাবও দাখিল করেন। এরপর বাদী পক্ষে তিনজন সাক্ষীর ওই আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। দ্বিতীয় পক্ষ অনুপস্থিত থাকলেও আদালতের ওই মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণ অনুযায়ী রায় ঘোষণা করার কথা থাকলেও ২০১৬ সালের ১৭ জুলাই মামলাটি নথিজাত করেন। পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে বাদী পক্ষ রিভিশন মোকদ্দমা দায়ের করেন। রিভিশন মোকদ্দমার নিষ্পত্তি শেষে আদালত রায় ঘোষণা করেন।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ