নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষা পদ্ধতির উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৫১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। ট্রান্সফর্মিং সেকেন্ডারি এডুকেশন ফর রেজাল্টস প্রোগ্রাম-এর আওতায় ৬ষ্ট থেকে দ্বাদশ শ্রেণির এক কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থী এতে উপকৃত হবে।
বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই কর্মসূচি শিক্ষা ও পাঠদানের গুণগতমান বৃদ্ধির পাশাপাশি লেখাপড়ায় বিশেষ করে ছাত্রী ও দরিদ্র পারিবারের ছেলে মেয়েদের স্কুল মুখী হওয়া ও ঝরে পড়া রোধ করবে।
বিশ্বব্যাংকের অঙ্গ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন (আইডিএ) থেকে এই কর্মসূচিতে ঋণ প্রদান করা হবে। এই ঋণ সুদমুক্ত এবং ৬ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছরে পরিশোধযোগ্য। এতে শতকরা ০.৭৫ ভাগ সার্ভিস চার্জ নেয়া হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই কর্মসূচি কারিকুলামের আধুনিকায়ন এবং শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে সহায়তা করবে। এই কর্মসূচি শিক্ষাদান মূল্যায়ন ও পরীক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারেও সহায়তা করবে।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের কান্ট্রি ডিরেক্টর কিমিয়াও ফান বলেন, ‘১৯৯৩ সালে বিশ্বব্যাংক একটি উদ্ভাবনী ও বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত বৃত্তি প্রকল্পের মাধ্যমে মাধ্যমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রদান শুরু করে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ হচ্ছে শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধি এবং দরিদ্র ছেলে মেয়ে, বালক ও বালিকা উভয়ের দ্বাদশ পর্যন্ত পড়াশোনা সম্পন্ন করা।’
মাধ্যমিক শিক্ষা বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশেরও কম ছেলেমেয়ে মাধ্যমিক স্তর এবং শতকরা ৬০ ভাগেরও কম দশম শ্রেণি শেষ করছে।
এই কর্মসূচি সরকারের মাধ্যমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচিকে সমর্থন দেবে। এটি শিক্ষকদের জবাবদিহিতার পাশাপাশি বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির জবাবদিহিতার পদ্ধতি বাস্তবায়ন করবে। বাসস
দৈনিক দেশজনতা /এন আর
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

