আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ধনকুবের সাবিহ আল-মাসরিকে ছেড়ে দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। রোববার তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং তিনি তার রিয়াদের বাসায় গেছেন বলে জানিয়েছে আলজাজিরা। মুক্তি পাওয়ার পর মাসরি গণমাধ্যমকে বলেছেন, তার সঙ্গে ‘সম্মানজনক আচারণ’ করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই ব্যবসায়িক কাজ ছেড়ে তিনি জর্ডানের রাজধানী আম্মান পৌঁছেবেন। এর আগে গত মঙ্গলবার ৮০ বছর বয়সী জর্ডানের এই ব্যবসায়ীকে দুর্নীতি সংক্রান্ত তথ্য জানার জন্য আটক করা হয় বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। যদিও আলজাজিরা ও রয়টার্সের খবরে বলা হয়, তার মাধ্যমে জর্ডানের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য তাকে আটকে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে।
কারণ মাসরি জর্ডানের একজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী এবং দেশটির সরকারের সঙ্গে যথেষ্ট সখ্য রয়েছে। তিনি জারা ইনভেস্টমেন্ট হোল্ডিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং আরব ব্যাংকের, যার প্রধান শাখা আম্মানে অবস্থিত, চেয়ারম্যান। জর্ডান ও সৌদির নাগরিক মাসরির এর বাইরেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও দেশ-বিদেশে বিনিয়োগ রয়েছে। খবরে বলা হয়, জর্ডান সরকার অর্থনৈতিক সংকটে পড়লে তারই দ্বারস্থ হয়। আর সে কারণে দেশটির সরকারের ওপর তার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। আর এই সুযোগটিই কাজে লাগাতে চাচ্ছে সৌদি সরকার। অর্থাৎ সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন করে মধ্যপ্রাচ্যে (ফিলিস্তিন-ইসরাইল) শান্তি প্রতিষ্ঠার নামে ‘আল্টিমেট ডিল’ নামের যে প্রস্তাব এনেছে তাতে জর্ডান সরকারের সমর্থন আদায় এবং মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি আরবের প্রস্তাব বিস্তারে সহযোগিতা করতেই তার মাধ্যমে আম্মানের ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে রিয়াদ।
কারণ ট্রাম্পের ওই প্রস্তাব ইতোমধ্যেই প্রত্যাখ্যান করেছে আম্মান। সেইসঙ্গে গত বুধবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত ওআইসির বিশেষ সম্মেলনে যোগ দেন জর্ডানের বাদশা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই ওই বিশেষ সম্মেলন ডাকা হয় এবং সম্মেলন থেকে পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী ঘোষণা করা হয়। জর্ডান সরকার যাতে ওই সম্মেলনে অংশ না নেয় সেজন্য একদিন আগে অর্থাৎ মঙ্গলবার মাসরিকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে সৌদি কর্তৃপক্ষ আটক করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি