আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জেরুজালেমের সংকটের ব্যাপারে কোনো একটি দেশের একক সিদ্ধান্ত বা ঘোষণা আইনগত বৈধতা পাবে না, এমন একটি প্রস্তাব উঠতে যাচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী স্বীকৃতি দেয়ার প্রতিবাদে জাতিসংঘে এই প্রস্তাব তুলতে যাচ্ছে মিসর। তবে যুক্তরাষ্ট্র সেখানে ভেটো দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের সমর্থনে অন্যান্য দেশ যেন জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তর না করে, সে বিষয়টিও থাকবে প্রস্তাবে।
কূটনীতিকরা মনে করছেন, নিরাপত্তা পরিষদের অধিকাংশ সদস্য এর সমর্থন করলেও বিরোধিতা আসতে পারে ওয়াশিংটন থেকে। তারা ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত ৬ ডিসেম্বর তেলআবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে শহরটিকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন ট্রাম্প। তাৎক্ষণিকভাবে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান বিশ্ব নেতারা। এই সিদ্ধান্তের ফলে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ শুরু হতে পারে, এমন শঙ্কা প্রকাশ করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে পথে নেমে আসেন ফিলিস্তিনের মানুষ। সেইসঙ্গে মুসলিম বিশ্বসহ অন্যান্য দেশেও ট্রাম্পে ঘোষণার প্রতিবাদের বিক্ষোভ হয়। গাজা উপত্যকা ও ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর, বেথেলহেম ও রামাল্লায় ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভের ওপর হামলা চালায় ইসরাইলি নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী। এতে এ পর্যন্ত কয়েকজন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন কয়েকশ। আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের জেরুজালেম সফরের সময়ও বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি