আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের সামুদ্রিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলে ফল ভালো হবে না বলে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে দেশটি। তারা বলেছে, এ ধরনের পদক্ষেপ যুদ্ধের শামিল বলে গণ্য করা হবে, যা বর্তমান সংকটকে পরমাণু যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কোরীয় উপদ্বীপে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য সমুদ্র অবরোধ আরোপের বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। এতে ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে চলমান উত্তেজনা আরও বেড়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, বৈরী এ দুই দেশের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি আরও বেশি প্রকাশ্য হয়ে উঠেছে গত জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বসার পর থেকে। উত্তর কোরিয়াকে তার পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বাতিলের দাবি জানিয়ে দেশটিকে ‘একেবারে গুঁড়িয়ে’ দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিএনএর খবরে বলা হয়, ‘ট্রাম্পের গ্যাং কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতি ক্রমেই বেশি যুদ্ধের দুয়ারে ঠেলে দিচ্ছে। যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়াই বেপরোয়া আচরণ করছে।’ কেসিএনএ বলেছে, ‘কোনো নৌ-অবরোধ করা হলে তা হবে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদার খেয়ালি লঙ্ঘন এবং আগ্রাসী যুদ্ধের শামিল, যা সহ্য করা হবে না।’
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি