নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিজয়ের মাসে জনগণকে ঐকবদ্ধ হতে আহবান জানিয়ে বিশিষ্ট আইনজীবি গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ঐকবদ্ধ হলে ইনশাল্লাহ জনগণের বিজয় হবেই হবে। তিনি বলেন, জনগণই এদেশের মালিক। তাই মালিকদের ঐকবব্ধ হতেই হবে। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া, ঢাকা মহানগর উদ্যোগে আজ ‘স্বাধীনতা : প্রত্যাশা, প্রাপ্তি ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন একথা বলেন।
জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে (নিচতলা) ঢাকায় অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় ড. কামাল হোসেন আরো বলেন, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে তালিকা করুন কারা সংবিধান লঙ্ঘন করছে। তিনি বলেন, আমরা কেউ সংবিধানের বাইরে কথা বলছি না। তিনি সংবিধান লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, একাত্তরে জনগণ ঐকবদ্ধ হয়েছিল বলে বিজয়ের স্বাদ নিতে পেরেছে। ৯০’র আন্দোলনে মাধ্যমে মাধ্যমে আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্র পেয়েছি। এখন সেই বহুদলীয় গণতন্ত্রকে কার্যকর দেখতে চাই। এটা চাওয়াতো অন্যায় নয়। এটা দলীয় বা মনগড়া কথা নয়। এটা সব সাধারণ মানুষের চাওয়া। তবে এটা চাইতে বা পেতে সবাইকে ঐকবদ্ধ হতে হবে।
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় দেশপ্রেমিকরা কাজ করছে। এটা কোনো দলীয় ফোরাম নয়। এখানে যারা দেশকে কিছু দিতে চায় তারাও যোগ দিতে পারে। তিনি দেশপ্রেমিকদের জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়ার আহবান জানান।
আলোচনা সভায় গণফোরামের নির্বাহী পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, দেশে গণতন্ত্রের লেশ মাত্র নেই। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কি এধরণের গণতন্ত্রহীন দেশ দেখতে চেয়েছিলেন? এটার জন্য কি মুক্তিযোদ্ধারা রক্ত দিয়েছিল।
সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ বলেন, এটা মহাজোট সরকার নয়, এটা মহা লুটপাটের সরকার। দেশে চলছে লুটপাটের মহাউৎসব। তবে দুর্ভাগ্য এধরণের লুটপাটে জাসদ, ওয়ার্কার্স পাটি ন্যাপও যুক্ত হয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ