শিল্প ও বাণিজ্য ডেস্ক:
আর্জেন্টিনায় ডব্লিউটিও এমসি-১১ তে যোগদানকারী বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের সদস্য হিসেবে ইউক্রেন বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ডিউটি ফ্রি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা দিতে পারে। ইউক্রেন ইউরোপিয়ন ইউনিয়নে যোগদানের ফলে উভয় দেশের মধ্যে এ বাণিজ্য সুবিধা কাজে লাগানোর সুযোগ এসেছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ডব্লিউটিওর মিনিস্টিট্রিয়ার কনফারেন্সে সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে উন্নতবিশ্ব ডিউটি ফ্রি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এজন্য বাংলাদেশ উপকৃত হয়েছে। ইউক্রেনের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যের উজ্জল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগানোর জন্য উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের নিয়ে চেম্বার অফ কমার্স গঠন করা প্রয়োজন। ব্যবসায়ীরা পারস্পরিক দেশ সফর করলে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। ইক্রেনের সাথে বাংলাদেশে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ এবং ইউক্রনের মধ্যে বিশেষ বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন করা প্রয়োজন। তিনি ওআইসির পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশ গ্রহনের জন্য ইউক্রেনকে সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী গত ১২ ডিসেম্বর (আর্জেন্টিনার স্থানীয় সময় বিকাল ৪ টা) আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্স এ এমসি-১১ তে যোগদানরত ইউক্রেনের প্রথম ভাইস প্রাইম মিনিস্টার এন্ড মিনিস্টার অফ ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট স্টিপেন কুবিভ (ঝঃবঢ়ধহ কঁনরা)-এর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন দেশে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। অনেকগুলোর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ সরকার দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা ঘোষণা করেছে। এখন বিনিয়োগকারীগণ প্রকল্পে শতভাগ বিনিয়োগ ও যে কোন সময় বিনিয়োগকৃত অর্থ লাভসহ ফিরিয়ে নিতে পারবেন।
বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সরকার আইন প্রনয়ন করে সংরক্ষণ করেছে। বাংলাদেশে পর্যাপ্ত দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। এখানে কম মূল্যে বিশ্ব মানের পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব। ইউক্রেনের বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশের স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। জাহাজ নির্মাণ, অবকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুৎ ও জালানীসহ যেকোন খাতে ইউক্রেনের বিনিয়োগকারীগণ বিনিয়োগ করলে বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে।
ইউক্রেনের প্রথম ভাইস প্রাইম মিনিস্টার স্টিপেন কুবিভ বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। উভয় দেশের ব্যবসায়িদের নিয়ে চেম্বার গঠন ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলে সফর বিনিময়ের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহনের আশ্বাস দেন। এজন্য তিনি উভয় দেশের মধ্যে এক্সপার্ট গ্রুপ গঠনের প্রস্তাব দেন।
সফররত বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু, জেনেভা বাংলাদেশ মিশনের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মো. শামীম আহসান, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভিসি বিজয় ভট্টাচার্য, ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. মুনীর চৌধুরী এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ