নিজস্ব প্রতিবেদক:
নোয়াখালীতে আমন ধানের মৌ মৌ গন্ধে মাতোয়ারা চারদিক। মাঠের যে দিকে তাকানো যায় সেদিকে শুধু সোনালি ধান। সোনালি ধানের সাথে বাতাসে দুলছে কৃষকের স্বপ্নও। আমন ধান কেটে ঘরে তুলতে শুরু করেছেন নোয়াখালীর কৃষকরা। এবার নোয়াখালীতে আমনের বাম্পার ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ছড়াবে।
এবছর জেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে কৃষকেরা মাঠ থেকে ধান কেটে বাড়িতে তুলতে শুরু করছেন। আমন চাষের শুরুতে বিভিন্ন রোগ দেখা গেলেও ফলনে এর কোন প্রভাব পড়েনি। গত বছরে তুলনায় এ বছর ফলন বেশি হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। আর মাঠে মাঠে ধান কাটার উৎসব শুরু হয়েছে। এরপর হবে কৃষকের আঙিনায় ধানের ছড়াছড়ি, গোলাভরা ধান। ইতোমধ্যে হাট-বাজারে নতুন ধান উঠতে শুরু করেছে।
সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা গ্রামের কৃষক লিটন মিয়া জানান, বর্তমানে হাটে ধানের দাম ভালো। প্রতি মণ চিকন ধান বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা আর মোটা ধান সাড়ে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। এতে আমাদের মোটামুটি লাভ হচ্ছে। নোয়াখালীর দত্তেরহাট বাজারের ধান ব্যবসায়ী কামাল মিয়া বলেন, বাজারে অল্প অল্প করে ধান উঠতে শুরু করেছে। বাজারে ধান ৮শ থেকে ১ হাজার টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে ধান।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবার নোয়াখালীর সদর উপজেলায় ১৫ হাজার হেক্টর, অন্যান্য উপজেলার মধ্যে হাতিয়ায় ৬৪ হাজার ৬৭০ হেক্টর, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ২২ হাজার ১৯০ হেক্টর, সুবর্ণচর উপজেলায় ৩৮ হাজার ৫শ হেক্টর, কবিরহাট উপজেলায় ৪ হাজার ১৫০ হেক্টর, সেনবাগ উপজেলায় ৫০৫ হেক্টর, বেগমগঞ্জ উপজেলায় ১০ হেক্টর, চাটখিল উপজেলায় ২০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ হয়েছে।
এবার জেলায় রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬শ হেক্টর জমি। আর আবাদ ১ লাখ ৪৫ হাজার ১৪৫ হেক্টর জমি। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ হাজার ৫৪৫হেক্টর জমিতে আমন ধান বেশি চাষাবাদ হয়েছে। নোয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. আবুল হোসেন বলেন, আমনের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আবাদ করা হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষক খুশি।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ