২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৮:২৫

টাঙ্গাইলে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর, সখীপুর এবং কালিহাতীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মাদ্রাসাশিক্ষার্থীসহ চার জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় অনন্ত ২০ জন আহত হন।

বুধবার দুপুরে সখীপুরে কুতুবপুর-জোড়দিঘী মোড় এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ফাইজুল ইসলাম তুহিন (১৫) নামের এক মাদ্রাসাশিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নিহত ফাইজুল ইসলাম তুহিন ঘাটাইল উপজেলার বেহুলা গ্রামের ফরহাদ হোসেনের ছেলে। সে সাগরদিঘী দাখিল মাদরাসার থেকে এ বছর দাখিল পরীক্ষার্থী ছিলেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দুপুরে তুহিন মারাসার শেষে বাইসাইকেল নিয়ে বড়চওনা যাওয়ার পথে কুতুবপুর-জোড়দিঘী মোড় এলাকায় পৌঁছলে একটি মোটরসাইকেলের সাথে সংর্ঘষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে তুহিন নিহত এবং মোটরসাইকেল চালক সাইদুর আহত হন। পরে আহত সাইদুরকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সখীপুর উপজেলার সাগরদিঘীর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কামাল হোসেন নিহত হওয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

অপরদিকে কালিহাতীর ইছাপুর এলাকায় বাসচাপায় লিপি আক্তার (৩০) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। নিহত লিপি আক্তার উপজেলার ইছাপুর সিকদারপাড়া এলাকার সাইদুল হকের স্ত্রী।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, লিপি আক্তার তার স্বামীর সাথে কালিহাতী থেকে মোটরসাইকেলযোগে নিজ বাড়িতে আসছিলেন। পথে উপজেলার ইছাপুর এলাকায় বিনিময় পরিবহনের একটি বাস মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে লিপি আক্তার ছিটকে মহাসড়কে পড়ে যান। এ সময় যাত্রীবাহী বাসটি তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

কালিহাতী থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ঘাতক বাসটিকে আটক করা যায়নি।

এদিকে মির্জাপুরে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে শিশুসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অনন্ত ২০ জন আহত হন। বুধবার দুপুরে উপজেলার ধেরুয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, টাঙ্গাইল সদরের আতোয়ার রহমানের স্ত্রী পারভীন বেগম (৫৫) ও ধামরাই উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের দীপক সূত্রধরের শিশুপুত্র শওকার সূত্রধর (৩)।

পুলিশ জানায়, দুপুরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা টাঙ্গাইলগামী একটি লোকাল বাস উপজেলার ধেরুয়া এলাকায় পৌঁছলে হঠাৎ করে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি পাশের খাদে পড়ে যায়। এসময় অনন্ত ২০ জন আহত হন। শিশু শওকার সূত্রধর নিখোঁজ হয়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে ১০জনকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা করেন। এদের মধ্যে পারভীন বেগম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বিকেল ৫টার দিকে নিখোঁজ শিশু শওকার সূত্রধরের মৃতদেহ পানির নীচ থেকে উদ্ধার করা হয়।

এ ব্যাপারে মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানার ওসি খলিলুর রহমান বলেন, নিহতদের লাশ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭ ৯:৫৯ পূর্বাহ্ণ