আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে বিস্ফোরণের ঘটনায় আটক সন্দেহভাজন বাংলাদেশি আকায়েদ উল্লাহর জীবনের অপরাধের কোনো রেকর্ড নেই। বাংলাদেশ পুলিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আকায়েদ তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ব্রুকলিনে থাকেন। সাত বছর আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেন। তিনি বাংলাদেশে চট্টগ্রাম জেলার বাসিন্দা। তবে গত সেপ্টেম্বরে তিনি দেশে এসেছিলেন।
নিউইয়র্ক পুলিশ বলছে, আকায়েদ নিউইয়র্কে ট্যাক্সিক্যাব চালাতেন। এর আগে সোমবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটনে পোর্ট অথরিটি টার্মিনাল স্টেশনের ভূগর্ভস্থ পথে এ বিস্ফোরণ ঘটান আকায়েব। তিনিসহ তিন পুলিশ আহত হয়েছেন।
প্রতিশোধমূলক হামলা চালাতে নিউইয়র্কে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করেছে নিউইয়র্ক পুলিশ। সন্দেহভাজন হিসেবে আটক বাংলাদেশি যুবক আকায়েদ উল্লাহর বরাত দিয়ে পুলিশ নিউইয়র্ক পোস্টকে জানায়, হাসপাতালে আহত অবস্থায় আকায়েদ বলেছেন, তারা আমার দেশে বোমা বিস্ফোরণ করছে, তাই আমি এখানে হামলা করতে চেয়েছি। পুলিশের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম খবর দিয়েছে, আকায়েদ নিজের শরীরের সাথে চিকন পাইপ ও প্লাস্টিক বস্তুর মাধ্যমে শরীরের সাথে বোমাটি বেঁধে রেখেছিলেন।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ হামলার কারণ উদ্ঘাটন করতে না পারলেও কথিত ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ওই যুবক হামলা চালিয়েছেন বলে দাবি করেছে। এই ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টা’ আখ্যা দিয়ে নিউইয়র্কের মেয়র বিল ডে ব্লাসিও বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা বিজয়ী হবে না। আমরা নিউইয়র্কবাসী তাদের রুখে দেব।’
পুলিশ বলেছে, বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেয়া ২৭ বছর বয়সী আকায়েদ ক্যাবগাড়ি চালাতেন। প্রতিশোধমূলক হামলা চালাতে তিনি এ বিস্ফোরণ ঘটান। ২০১১ সালে ইস্যু করা ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে তার ছবি ও পরিচয় সনাক্ত করে নিউইয়র্কের মোটর গাড়ি দফতর। নিউইয়র্ক পুলিশ জানিয়েছে, আকায়েদকে বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। বিস্ফোরণে হাত ও পেট দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি। এদিকে, সর্বশেষ বিস্ফোরণের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি দেশটির সিনেটকে লক্ষ্য করে বলেছেন, অভিবাসন নীতির সংস্কার যে কতটা জরুরি তা এই হামলা থেকেই প্রমাণিত।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ