আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহে ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণ করেছে তিন যুবক। প্রথমবার ধর্ষণের পর ছেড়ে দিলেও ফের দ্বিতীয়বার তাকে অপহরণ করে নিয়ে যা তারা। এরপর এখনো পর্যন্ত কোনও সন্ধান মেলেনি ওই কিশোরীর। চার মাস পেরিয়ে গেলেও গণধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর খোঁজ নেই। এফআইআর করার পর থেকে উল্টো অভিযুক্তদের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে পরিবারটিকে। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ নির্যাতিতার পরিবার। অভিযুক্তদের নাম সফিকুল রায় ওরফে জাকির, শেখ লদা ও শেখ সাকিব। তারা মালদহের রতুয়ায় দুষ্কৃতি হিসেবে পরিচিত।
নির্যাতিতার বাবার বক্তব্য চলতি বছরের ৯ জুলাই মেয়ে প্রথমবার লাঞ্ছনার শিকার হয়। ওই তিনজন মেয়েকে অপহরণের পর তিন দিন ধরে একটি ঘরে আটকে রেখে গণধর্ষণ করে। এরপর দুষ্কৃতীরা নির্যাতিতাকে বিহার পাচারের ছক কষেছিল। গত ১১ জুলাই নদীপথে বিহারে যাওয়ার জন্য দুষ্কৃতীরা স্থানীয় গোবরাঘাটে অসুস্থ অবস্থায় এই ছাত্রীকে নিয়ে আসলে স্থানীয় গ্রামবাসীদের সন্দেহ হয়। দুষ্কৃতীদের আটক করে খবর দেওয়া হয় রতুয়া থানায়। ওই অবস্থায় ছাত্রীকে ফেলে দুই দুষ্কৃতী পালিয়ে যায়। পুলিশ ছাত্রীকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপর ছাত্রীর পরিবার গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে রতুয়া থানায়।
নির্যাতিতার পরিবার সফিকুল রায় ওরফে জাকির রায়কে ধরে পুলিশের হাতে তুলেও দিয়েছিল। কিন্ত পুলিশের রিপোর্টে অভিযুক্তকে নাবালক উল্লেখ করা হয়। ফলে মুক্ত হয়ে যায় সফিকুল। গণধর্ষিতার পরিবার বিচারের আবেদন করে আদালতে দ্বারস্থ হয়। এর কয়েক দিন পর গত আট জুলাই স্কুল থেকে ফেরার পথে গণধর্ষিতাকে ফের অপহরণ করে অভিযুক্তরা। ফের রতুয়া থানায় অভিযোগ করে পরিবার। এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি রতুয়ার সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রী। এবার বিচার চাইতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছেন এই পরিবার।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি