নিজস্ব প্রতিবেদক:
নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধি গেজেট আকারে আজই প্রকাশ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘গেজেট হয়ে গেছে এখন শুধু প্রকাশের অপেক্ষা। আজই প্রকাশ পাবে। আগামী ৪৫ মিনিটের মধ্যে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের পরামর্শক্রমে ও মাননীয় রাষ্ট্রপতির সম্মতিক্রমে আজ গেজেট প্রকাশ পেলো।’
সাইবার ক্রামই ট্রাইব্যুনাল চালুর পর আজও নির্ধারিত কোনো এজলাস পায় নি। প্রধান বিচারপতি নিয়োগ কবে নাগাদ হবে এবং প্রধান বিচারপতি না থাকার কারণে অন্য কোনো বিচারপতি নিয়োগ দেয়া যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘একজন মাননীয় প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ দেয়ার এখতিয়ার মাননীয় রাষ্ট্রপতির। তিনি কখন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেবেন তা তিনি আমাকে বলবেন না। এটা আমিও বলতে পারি না।’
তবে বাংলাদেশের সংবিধানে অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি, প্রধান বিচারপতির অনুরূপ কার্যভার পালন করতে পারেন। এতেই পরিষ্কার যে, তিনি বিচারপতি নিয়োগ দিলে বা তার পরামর্শে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিলে সংবিধানের কোনো অনুচ্ছেদ লঙ্ঘিত হয় না।
মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার ১৬৯টি অভিযোগের তদন্তের ও ব্যাখ্যা চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে যা বছরখানেক ধরে পেন্ডিং আছে। গত বছর এসব তদন্তের জন্য ওয়াদা করেছিলেন। এ ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, ‘এসব অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এসব ব্যাপারে আপনাদের ব্রিফ করা হবে।’
গতকাল (রোববার) রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। এর আগেও গেজেট প্রকাশে দফায় দফায় সময় নেয় সরকার পক্ষ। তারও আগে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন না করায় আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর তলবও করেছিলেন আপিল বিভাগ। ২০১৬ সালের ৭ নভেম্বর বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা ২৪ নভেম্বরের মধ্যে গেজেট আকারে প্রণয়ন করতে সরকারকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
২০০৭ সালের ১০ জানুয়ারি আপিল বিভাগ বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ সংক্রান্ত চারটি বিধিমালা সাত দিনের মধ্যে গেজেট আকারে প্রকাশের নির্দেশ দেন। তবে এ সংক্রান্ত মামলাটি এখনও আপিল বিভাগে বিচারাধীন। ১২ দফা নির্দেশনার যেসব দফা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি, সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য তাগিদ রয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর