ইসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল

আদালতের আদেশের পর আইনজীবী রাজিউদ্দিন আহমেদ পারভেজ সাংবাদিকদের জানান, ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ও লাঙ্গলকোট উপজেলা দুটি সংসদীয় আসনের (কুমিল্লা-৯ ও ১১) অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরে লাঙ্গলকোটের সঙ্গে সদর দক্ষিণের কয়েকটি ইউনিয়ন নিয়ে কুমিল্লা-১০ নির্বাচনী আসন (সংসদীয় এলাকা-২৫৮) গঠন করা হয়। ২০১৩ সালে ইসি চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।

পরে ইসির ওই গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গফুর ভূইয়া হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৩ সালের ২২ জুলাই রুল জারি করে। সীমানা নির্ধারণ করে জারিকৃত গেজেটের এই অংশ (সংসদীয় আসন- ২৫৮, কুমিল্লা-১০) কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে চলতি বছরের ২০ শে মার্চ বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রায়ে গেজেটের এই অংশটি অবৈধ ঘোষণা করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টের ওই রায়ের সার্টিফায়েড কপিসহ ১২ জুলাই আমরা বিষয়টি ইসিকে অবহিত করে আবেদন করি। কিন্তু ইসি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয়ায় গত ১৫ নভেম্বর ইসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠাই। কিন্তু নোটিশের জবাব না দেয়ায় আমরা আদালত অবমাননার আবেদন করি।’

আবেদনের শুনানি শেষে রোববার আদালত এক আদেশে ইসি সচিবের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন বলে জানান রাজিউদ্দিন। এ বিষয়ে খোঁজ নিলে ইসির আইন শাখা জানায়, রুলের কপি পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ