আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বেছে বেছে ভোটের দিনেই পড়েছিল তাঁর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। তাই বলে তো আর ভোট না দিয়ে থাকা যায় না। গায়ে হলুদের পোশাক পরেই ভোটকেন্দ্রে ছুটলেন কনে।
গতকাল শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের গুজরাটে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশ বলে পরিচিতি রয়েছে ভারতের। গতকাল দেশটির গুজরাট রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ১৮২টি আসনের মধ্যে এ দিন ৮৯টিতে ভোট হয়। বাকি ৯৩টি আসনে ভোট হবে আগামী বৃহস্পতিবার।
গুজরাটের সুরাট শহরের কাটারগাম এলাকার ফেনি পারেখের গতকাল ছিল গায়েহলুদের অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান শুরুও হয়ে গিয়েছিল। সেই অনুষ্ঠান ফেলে হলুদের পোশাক পরেই তিনি ছুটে যান ভোটকেন্দ্রে। সংবাদ সংস্থা এএনআই তাঁর ছবি প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, ভোটার পরিচয়পত্র হাতে হাসিমুখে ফেনি পারেখ দাঁড়িয়ে রয়েছেন ভোটারের সারিতে। তাঁর মুখে তখনো লেগে ছিল কাঁচা হলুদ।
ভোটাধিকার প্রয়োগে ফেনির এই আগ্রহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বেশ আলোচনার সৃষ্টি করেছে। একজন লিখেছেন, ‘গণতন্ত্রের প্রতি নিবেদিত’। অপর একজন মজা করে লিখেছেন, ‘ভোটার পরিচয়পত্রের ছবির সঙ্গে মিলেছে তো? নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের কষ্টই হবে’। সমালোচনাও করেছেন কেউ কেউ। একজন লিখেছেন, ‘মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা’।
তবে গতকাল গুজরাটের ভোটকেন্দ্রগুলোয় ফেনি পারেখের মতো আরও কয়েকজন কনেকে দেখা গেছে। ফেনির ছবি প্রকাশের আগে এএনআই টুইটারে আরও এক জুটির ছবি পোস্ট করে। এতে দেখা যায়, বিয়ের পোশাক পরেই এই জুটি ভোটকেন্দ্রে গেছেন। তবে তখনো তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হননি। ভোট দেওয়ার পর তাঁদের বিয়ে হয়।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ