নিজস্ব প্রতিবেদক:
নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরি ও শৃঙ্খলা বিধিমালার গেজেট প্রকাশের জন্য ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে আপিল বিভাগ। আজ রবিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপক্ষের করা সময় আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেয় আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। গত ৩ ডিসেম্বর গেজেট প্রকাশে সরকারকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেয় আপিল বিভাগ।
আদালত সূত্র জানায়, ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি খসড়া শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়। গত বছরের ২৮ আগস্ট এই মামলার শুনানিতে আপিল বিভাগ জানান, শৃঙ্খলা বিধিমালা সংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিল ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু অনুরূপ, যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থি। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট একটি খসড়া বিধিমালা করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। একইসঙ্গে ওই বছরের ৬ নভেম্বরের মধ্যে তা প্রণয়ন করে প্রতিবেদন আকারে আদালতকে অবহিত করতে আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতার নয় বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা গত বছরের ৩১ অক্টোবর এক বাণীতে বিচার বিভাগে দ্বৈত শাসন চলছে বলে উল্লেখ করেছেন। বাণীতে তিনি বলেন, সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদে অধঃস্তন সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের ওপর হাইকোর্টের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ থাকবে বলা হয়েছে। কিন্তু ১১৬ অনুচ্ছেদে যে বিধান দেয়া হয়েছে তা বিচার বিভাগের ধীরগতির অন্যতম কারণ।
এই অনুচ্ছেদ অনুসারে অধঃস্তন আদালতের বিচারকদের পদোন্নতি, বদলি এবং শৃঙ্খলামূলক কার্যক্রম সুপ্রিম কোর্টের পক্ষে এককভাবে গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। দ্বৈত শাসনের ফলে বহু জেলায় শূন্য পদে সময়মত বিচারক নিয়োগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এতে বিচার কাজে বিঘ্ন ঘটে এবং বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি বেড়ে যায়। ১১৬ অনুচ্ছেদ পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য তিনি বাণীতে উল্লেখ করেন।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি