আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার বিরুদ্ধে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা ও ইস্তাম্বুলে শত শত মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ ঘোষণার তীব্র নিন্দা ও সমালোচনা করেন। দুই শহরের বিক্ষোভই শান্তিপূর্ণ ছিল তবে বিক্ষুব্ধ জনতা কোথাও কোথাও আগুন ধরিয়ে প্রতিবাদ করেন এবং ইসরাইলের পতাকা পোড়ান। বিক্ষোভকারীদের অনেকের হাতে তুরস্কের পতাকা ও নানা রকম ফেস্টুন দেখা যায় যাতে লেখা ছিল “ফিলিস্তিন মুক্ত করুন।” তারা তুরস্কে ইসরাইলি কন্স্যুলেট ভবনের দেয়ালেও ফিলিস্তিন মুক্ত করার দাবিতে নানা স্লোগান লিখেছেন। এছাড়া, তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মার্কিন ঘোষণার নিন্দা ও সমালোচনা করে দায়িত্বজ্ঞানহীন এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছে।
গতকাল বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সারা বিশ্বের বিরোধিতা ও প্রতিবাদ উপেক্ষা করে জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন। এছাড়া, তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে জেরুসালেমে নেয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের এই ঘোষণা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। অধিকৃত ভূখণ্ডে ফিলিস্তিন ও ইসরাইলিদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে গেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত খবর পাওয়া যায়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সারা বিশ্বের বিরোধিতা ও প্রতিবাদ উপেক্ষা করে এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের জেরুসালেম শহরকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বুধবার রাতে এ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ল।
তার এই ঘোষণার আগে সারা বিশ্ব থেকে সতর্ক করা হয় যে, এ ধরনের ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে দেবে। কিন্তু ট্রাম্প এসব সতর্ক বার্তা মোটেই আমলে নেননি। এরই মধ্যে গাজা উপত্যকা ও বেথলহাম শহরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি এবং গাজা উপত্যকায় ট্রাম্পের কুশপুত্তলিক পোড়ানো হয়েছে। এছাড়া, ট্রাম্পের ঘোষণার প্রতিবাদে বেথেলহাম শহরে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকজন বড়দিন উপলক্ষে সাজানো ক্রিসমাস ট্রি’র আলোকসজ্জার সুইচ বন্ধ করে দেন। বড়দিনে আলোকসজ্জা চালু করা হবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস মার্কিন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি