আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যৌথ সামরিক মহড়া চালানোর সময় বি-১বি মডেলের মার্কিন বোমারু বিমান কোরীয় উপদ্বীপের আকাশ পদখিন করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মহড়ার অংশ হিসেবেই মার্কিন যুদ্ধবিমান ওই অঞ্চল পরিক্রমণ করে। কোরীয় উপদ্বীপ নিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র বোমারু বিমান পাঠালো। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বুধবার জানায়, উত্তর কোরিয়ার ক্রমাগত পরমাণু হামলার হুমকির জবাবে ওই অঞ্চলে ধারাবাহিকভাবে সামরিক মহড়া চালিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সর্বশেষ যৌথ বিমান মহড়াটি গত সোমবার থেকে শুরু হয়। চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর জানায়, এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো স্থানে হামলা চালানোর সক্ষমতা তারা অর্জন করেছে। এর আগে থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বাকযুদ্ধ চলছিল। উত্তর কোরিয়ার মতো যুক্তরাষ্ট্রও পরমাণু বোমা নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে বলে দেশটির বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে।
এদিকে, পাঁচ দিনের ওই যৌথ সামরিক মহড়াকে ভালো চোখে দেখছে না উত্তর কোরিয়া। এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে তারা উস্কানিমূলক পদক্ষেপ বলে আখ্যা দিয়েছে। এমন অবস্থায় উত্তেজনা প্রশমনে জাতিসংঘের কর্মকর্তা জেফরি ফেল্টম্যান মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়া সফরে গেছেন। সাবেক এই মার্কিন কূটনীতিকের বিরল সফরে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শুক্রবার পর্যন্ত পিয়ংইয়ং সফরকালে ফেল্টম্যান উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তবে, দেশটির নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে তার সাক্ষাত হবে না বলে জানা গেছে
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি