নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ ৬ ডিসেম্বর, গণতন্ত্র মুক্তি দিবস। স্বৈরাচার পতনের ২৭ বছরপূর্তি দিবস আজ। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনতার প্রতিবাদ, প্রতিরোধ আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতন ঘটে। মুক্তি পায় গণতন্ত্র।
১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচির মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনের সূচনা হয়। ঢাকা পলিটেকনিকের ছাত্র মনিরুজ্জামান হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সব ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করার প্রত্যয় ঘোষণা করে। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর হরতালের সময় নূর হোসেনকে স্বৈরাচার এরশাদের বাহিনী গুলি করে। যার বুকে-পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ লেখা ছিল। অন্যদিকে, ওই দিন সেনা ও পুলিশ বাহিনী আমিনুল হুদা টিটোকে মেরে গুম করে। এ ঘটনায় সব মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে এরশাদ হটানোর আন্দোলনে নেমে পড়ে। এভাবে ঘটনাক্রমিক আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় এরশাদ পদত্যাগের ঘোষণা করেন।
দীর্ঘ প্রায় ৯ বছরের শাসনের অবসান ঘটে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর। স্বৈরশাসক এরশাদের পতনের পর থেকে দিবসটিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্ন নামে পালন করে আসছে। দিনটিকে আওয়ামী লীগ ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’, বিএনপি ‘গণতন্ত্র দিবস’ এবং এরশাদের জাতীয় পার্টি ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে। অন্য রাজনৈতিক দলগুলো এটিকে ‘স্বৈরাচার পতন দিবস’ হিসেবেও পালন করে।
দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
এদিকে আজ দুপুর আড়াইটায় সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী হলে ৯০র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের উদ্যোগে স্বৈরাচার পতন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ