নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী বছরের জানুয়ারিতে একটি টোল ফ্রি সেবাদানকারী হট লাইন নাম্বার চালু করা হচ্ছে । জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, নানাভাবে নারী, শিশু ও সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হচ্ছে। তাই যখন কোথাও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটবে তখনই মানবাধিকার কমিশনকে জানানোর জন্য এই হট লাইন চালু করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক নাগরিক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ১৪টি জেলার মাঠপর্যায়ের মানবাধিকার কর্মী, শিক্ষার্থী, আইনজীবী, উন্নয়ন কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার নাগরিকদের নিয়ে এই সংলাপের আয়োজন করা হয়।
কাজী রিয়াজুল হক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (সংস্কার) আইন, ২০১৩ এর ৫৭ ধারার ব্যাপক অপব্যবহার সম্পর্কে বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে এই ধারা। তিনি বলেন, সংবাদকর্মীদের মানবাধিকার নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের দেখতে হবে। তিনি জানান, শিশুদের জন্য একটি আলাদা কমিশন এবং অধিদপ্তরের বিষয়ে তার কমিশন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রালয়ের সাথে আলোচনা করেছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ভিত্তি আইনের সীমাবদ্ধতা দূর করতে এবং এর ১৮ ধারায় উল্লেখিত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ তদন্তের বিষয়টির আরও সাহসী ও প্রগতিশীল করার পক্ষে তার অবস্থানের কথা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আসকের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা। এসময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অভিযোগ ও তদন্ত বিভাগের পরিচালক শরিফ উদ্দীন এবং ইউএনডিপির হিউম্যান রাইটস প্রোগ্রামের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার শর্মীলা রাসূল। আসকের পক্ষ থেকে ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, বাংলাদেশ এর বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা ও নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা’ অবস্থানপত্র উপস্থাপন করেন তামান্না হক রিতি।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর