বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক :
দেশে আগামী ফেব্রুয়ারি নাগাদ চালু হতে পারে চতুর্থ প্রজন্মের (ফোরজি) টেলিযোগাযোগ সেবা। এ জন্য ফোরজি নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সেখানে তরঙ্গ নিলামের জন্য আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য তরঙ্গ নিলাম নীতিমালাও চূড়ান্ত করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
তবে এই নীতিমালার কয়েকটি বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে দেশের তিন প্রধান মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংক। তিন অপারেটরের প্রধান নির্বাহীর সই করা এ চিঠিতে তরঙ্গের দাম, ফোরজির গতি, ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক, মূল্য সংযোজন করসহ কয়েকটি বিষয়ে আপত্তির কথা জানানো হয়েছে। বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদকে গতকাল লেখা এ চিঠিতে সই করেছেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাইকেল ফোলি, রবির সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহতাব উদ্দিন আহমেদ এবং বাংলালিংকের এমডি ও সিইও এরিক অস।
তিন অপারেটরের চিঠিতে বলা হয়েছে, নীতিমালায় এমন কিছু শর্ত রয়েছে, সেগুলো পরিবর্তন করা না হলে তা সবার জন্য বিব্রতকর এক পরিস্থিতি তৈরি করবে। তরঙ্গের যে ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে, সেটি অনেক বেশি। একইভাবে তরঙ্গ ব্যবহারে প্রযুক্তি নিরপেক্ষতার দামও বেশি। ফোরজির ন্যূনতম যে গতি নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটিও বাস্তবসম্মত নয়। এখন সব মিলিয়ে দেশে যে পরিমাণ তরঙ্গ আছে, তার সব ব্যবহার করেও এই গতির ফোরজি দেওয়া সম্ভব নয়। আর ফোরজির গতির সঙ্গে মোবাইল ফোন সেট, অবকাঠামোসহ বিভিন্ন বিষয় যুক্ত আছে।
নিরবচ্ছিন্ন ফোরজি-সেবার জন্য চিঠিতে অপারেটরদের নিজস্ব ফাইবার নেটওয়ার্ক তৈরির সুযোগ চাওয়া হয়েছে। মূল্য সংযোজন করসহ (মূসক) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে বিভিন্ন অমীমাংসিত বিষয় নিয়েও উদ্বেগ জানানো হয়েছে চিঠিতে। সব মিলিয়ে ফোরজিতে বিনিয়োগ নিশ্চিত করার জন্য সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি