২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ১২:০২

৩০০ রোহিঙ্গার ঠাঁই হলো আশ্রয় শিবিরে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের সঙ্গে সরকারের চুক্তি হলেও কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলা বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে এখনো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে টেকনাফের উনচিপ্রাং, হাড়িয়াখালী ও শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত দিয়ে তিন শতাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তাদের মানবিক সহায়তা দিয়ে দুপুরে টেকনাফ রোহিঙ্গা শিবিরে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক।

ইউএনও জাহিদ হোসেন জানান, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে দু’দেশের চুক্তি হলেও এখনো মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে। গত এক সপ্তাহে টেকনাফে হারিয়াখালী ও বাহারছড়া ত্রাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে নতুন করে আসা প্রায় পাঁচ হাজার রোহিঙ্গাকে আশ্রয় শিবিরে পাঠানো হয়েছে। প্রতিদিন নাফ নদী অতিক্রম করে অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদশে প্রবেশ করে।

পালিয়ে আসা মংডু শহরে হাসসুরাতা গ্রামের নুরুল আমিন বলেন, গত এক মাস ধরে বসতবাড়ি ছেড়ে সেনাদের ভয়ে মিয়ানমার দংখালী চরে মানবেতর জীবন-যাপন করেছি। পরে বৃহস্পতিবার নৌকা করে টেকনাফের নয়াপাড়া দিয়ে ঢুকে পড়ি। কিন্তু এখন আর সেখানে থাকার কোনো সুযোগ নেই, তাই এপারে পালিয়ে এসেছি।

টেকনাফের সাবরাং হারিয়াখালী ত্রাণকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি ও টেকনাফ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবির বলেন, এ পয়েন্ট দিয়ে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করে থাকে। তাদের মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ দিয়ে দিয়ে নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে পাঠানো হচ্ছে।

কয়েকটি পুলিশি চেকপোস্টে হামলার জের ধরে গত ২৫ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গাদের দমনে অভিযানে নামে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। অভিযানের নাম করে তারা হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা, নির্যাতন, নারীদের ধর্ষণ করে। নির্যাতন থেকে বাঁচতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ইতোমধ্যে সাড়ে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এখনো প্রায় প্রতিদিন সীমান্ত দিয়ে অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশ প্রবেশ করছে।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :ডিসেম্বর ৫, ২০১৭ ৩:২৪ অপরাহ্ণ