২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৪:৫৬

রাজধানী পেল আধুনিক টয়লেট

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার ২৬ নং ওয়ার্ডের ফার্মগেট মোড়ে উদ্বোধন করা আধুনিক টয়লেট ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন প্যানেল মেয়র ওসমান গনি। অবশ্য অত্র এলাকার কাউন্সিলর শামিম হাসানও এমন সংশয় প্রকাশ করেছেন। সোমবার রাজধানীর ফার্মগেট আনন্দ সিনামাহলের পাশে এমএমসির অর্থায়নে ও ডিএনসিসির সহযোগিতায় নির্মাণ হওয়া যাত্রী ছাউনি, পাবলিক টয়লেট ও সুপেয় পানির ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন প্যানেল মেয়র।

নতুন উদ্বোধন হওয়া যাত্রী ছাউনিসহ পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করতে হলে প্রথমে কাউন্টার থেকে ৫ টাকা পরিশোধের মাধ্যমে একটা স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করতে হবে। এরপর সেই কার্ড পাঞ্চ করে টয়লেট ব্যবহার করা যাবে। নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া পানি পানের জন্য এক টাকা মূল্যের গ্লাস নিয়ে পানি পান করতে হবে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্যানেল মেয়র ওসমান গনি বলেন, অফিসিয়ালভাবে আধুনিক টয়লেট রক্ষা করা কষ্টকর হয়ে যাবে। পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায়, এটা রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাবে। এ জন্য প্যানেল মেয়র স্থানীয় জনগণের পাশাপাশি তিন কাউন্সিলরকে আধুনিক পাবলিক টয়লেট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অনুরোধ জানান।

আধুনিক এই পাবলিক টয়লেট ব্যবহার উপযোগী রাখার জন্য ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামিস হাসানের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটা কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানে ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খান ইরান, ২৬, ২৭ ও ২৮ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর শামিমা রহমানসহ ডিএনসিসির ২ কর্মকর্তা, এমএমসির ২ জন এবং কারওয়ান বাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ওমর ফারুককে নজরদারি রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে শামিম হাসান বলেন, স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরও যদি নাগরিকদের টয়লেট ব্যবহার শেখাতে হয়, তাহলে এটা জাতির জন্য লজ্জার। তিনি বলেন, এখনো দেশে পাবলিক টয়লেট উদ্বোধন করতে হয়। আর তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য লোক রাখতে হয়, যা সত্যি লজ্জার। আধুনিক এই টয়লেট এক সাথে ১০ জন ব্যবহার করতে পারবে। টয়লেটে নারীর জন্য তিনটি স্থান ও পুরুষের জন্য ৭টি স্থান বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে এ বিষয়ে কথা হয় এসএমসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী রেজা খানের সঙ্গে। ব্যস্ততম এই এলাকায় এত কম লোকের জন্য টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডিএনসিসির জায়গা কম থাকায় ছোট করে করতে হয়েছে। জায়গা বেশি থাকলে বেশি ব্যবস্থা করা যেত। যেহেতু আপনারা অর্থায়ন করেছেন এবং ব্যবহারকারীর অর্থ আপনারা নিবেন, সেক্ষেত্রে টয়লেট রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে যে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে তাকে আপনি কিভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করব, যাতে করে নির্মাণ করা এই প্রকল্প নষ্ট না হয়। এর জন্য আমাদের দুইজন প্রতিনিধি রেখেছি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহুল ইসলাম। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক কমোডোর আব্দুর রাজ্জাক, এসএমসির পরিচালক মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :ডিসেম্বর ৪, ২০১৭ ৩:৩১ অপরাহ্ণ