২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৬:০৬

রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারে খুবই অস্বস্তিকর অবস্থা: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রোহিঙ্গাদের কারণে বর্তমানে কক্সবাজারে খুবই অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি হয়েছে। কক্সবাজারের অর্থনীতি-পরিবেশ-পর্যটন ও প্রকৃতির ওপর প্রচণ্ড চাপ বেড়েছে। ছোট এই শহরটিতে দীর্ঘদিন রোহিঙ্গাদের চাপ সহ্য করা সম্ভব নয়।’ সোমবার সকালে কক্সবাজারের অভিজাত এক হোটেলে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ ও নগদ টাকা গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির আসলে কোনো পুঁজি নেই। বিএনপির একটাই পুঁজি—কথামালার চাতুরী, স্ট্যান্ডবাজি এগুলো ছাড়া তাদের আর কোনো পুঁজি নেই। আগামী নির্বাচনে জেতার মতো, তারা যতই দিন যাচ্ছে, তাদের নেতিবাচক রাজনীতিকে অব্যাহত রেখে ক্রমাগত মিথ্যাচারের ভাঙা রেকর্ড বাজাতে বাজাতে তারা এখন এমন অবস্থায় উপনীত হয়েছে। তারা নিজেরাও জানে, তারা আগামী নির্বাচনে না এলে মুসলিম লীগের মতো করুণ পরিণতি তাদের জন্য অপেক্ষা করছে।’
এ সময় রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন সেতুমন্ত্রী। বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে বর্তমানে কক্সবাজারে খুবই অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি হয়েছে। কক্সবাজারের অর্থনীতি-পরিবেশ-পর্যটন ও প্রকৃতির ওপর প্রচণ্ড চাপ বেড়েছে। ছোট এই শহরটিতে দীর্ঘদিন রোহিঙ্গাদের চাপ সহ্য করা সম্ভব নয়।’

‘তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব না হলে রোহিঙ্গাদের কিছু অংশকে ভাসানচরে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করবে সরকার। যেসব দেশ রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতিশীল, তারাও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে পারে।’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, বাংলাদেশকে তিন দফায় বন্যা মোকাবিলা করতে হয়েছে। তার ওপর রোহিঙ্গা সমস্যাসহ নানা কারণে অর্থনৈতিক চাপ বেড়েছে। তাই চাপ কমাতে বিকল্প চিন্তা করছে সরকার।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, আশেক উল্লাহ রফিক, আবদুর রহমান বদি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য সামসুল হক চৌধুরী ২০ লাখ টাকা, সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ২০ লাখ, খন্দকার রুহুল আমিন ১০ লাখসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান টাকা হস্তান্তর করে। এ ছাড়া এয়ারবেল ডেভেলপমেন্টসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ওষুধ সামগ্রীসহ ত্রাণ হস্তান্তর করে।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :ডিসেম্বর ৪, ২০১৭ ২:১৪ অপরাহ্ণ