নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজকোষ শূন্য করে প্রধানমন্ত্রী নামকরণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘দেশে দুঃসময় চলছে, অথচ প্রধানমন্ত্রীসহ ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা রাজকোষ শূন্য করে নিজের পরিবারের নামকে প্রতিষ্ঠিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বর্তমান এক ভয়াবহ সঙ্কট রোহিঙ্গা ইসু্তে এক পা ফেলছেন না, কিন্তু কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে পিতার নামে সড়ক নামকরণ ও উদ্বোধন করতে চলেন গেলেন সুদূর কম্বোডিয়া। তিনি যদি দেশের মানুষের ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হতেন তাহলে দেশের স্বার্থ বাদ দিয়ে নামকরণে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন না।’
সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বিএনপিসহ দেশের বিশিষ্টজনরা চীন ও ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোকে বাংলাদেশের পক্ষে রাজী করতে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানালেও রহস্যজনক কারণে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) উদোগী হলেন না।
তিনি বলেন, আগাম নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত বলে ওবায়দুল কাদের ও সিইসির একই সুর প্রমাণ করে- সিইসি সরকারের নির্মিত সেই পুরনো পথেই হাঁটবেন। অথচ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা। কিন্তু অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে, চাকরি রক্ষার্থে বর্তমান সিইসি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়টি আমলে নিবেন না।
বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, ‘আমি বিএনপির পক্ষ থেকে আবারো দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, প্রধান নির্বাচন কমিশনার মহোদয় আপনি আওয়ামী সরকারের অশুভ ইচ্ছা পূরণের ‘খাঁচায় বন্দি তোতা পাখি হবেন না’। কেননা ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত আর বড় বড় বুলির মায়াজাল সৃষ্টি করে গণতন্ত্রের ঘাতক প্রতিহিংসা পরায়ণ শেখ হাসিনা ও তার সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন এদেশের জনগণ মেনে নেবে না। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ কোন নীল নকশার ফাঁদে পা দিবে না।’
তিনি বলেন, খুনের রাজত্ব কায়েম করেছে ভোটারবিহীন সরকার। তারা তরুণদের টার্গেট করেছে এবং ছাত্রলীগ এখন খুনের ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুইয়া, আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, দক্ষিণ নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পটু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ