২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৭:৪৬

অনির্দিষ্টকালের গণপরিবহন ধর্মঘট, দুর্ভোগে চট্টগ্রামবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চট্টগ্রামে রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের গণপরিবহন ধর্মঘট পালিত হচ্ছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। পুলিশি হয়রানি, অনুমোদন ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধসহ ১১ দফা দাবিতে সকাল ৬টা থেকে মেট্রোপলিটন গণপরিবহন বাস মালিক সংগ্রাম পরিষদের ডাকে এ ধর্মঘট শুরু হয়।

ধর্মঘটের কারণে নগরীর বিভিন্ন সড়কে জনজীবনে দুর্ভোগ দেখা দেয়। শত শত মানুষ বেশি ভাড়ায় রিকশা, সিএনজি অটোরিকশায় কর্মস্থলে গেলেও অনেকে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেছে। স্কুল-কলেজ, অফিস, আদালতমুখী লোকজনকে বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। পরিবহনের অভাবে নির্ধারিত সময়ে অনেকে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেননি। অনেককে গাড়ি না পেয়ে আবার অফিস কামাই করতে হয়েছে।

নগরীর বাদুরতলা, চকবাজার, আন্দরকিল্লা, কাজীর দেউড়ি, লালখানবাজার, টাইগারপাস, অক্সিজেন, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, আগ্রাবাদসহ পুরো নগরীতেই অপেক্ষমাণ যাত্রীদের জটলা দেখা গেছে। সাপ্তাহিক ছুটি ও ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটি শেষে অনেকে গ্রামের বাড়ি থেকে শহরের প্রবেশমুখগুলোতে এসেছে দুর্ভোগে পড়েছেন।

যাত্রীরা বলছেন, সুযোগ পেয়ে রিকশা ও সিএনজি চালকরা খেয়ালখুশি মতো ভাড়া আদায় করছেন। তাছাড়া বাড়তি ভাড়ায়ও গাড়ি মিলছে না। এদিকে নগরীর কর্ণফুলী শাহ আমানত ব্রিজ ও ইপিজেড এলাকায় পিকেটিং করার সময় চার পরিবহন শ্রমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম মেট্রো গণপরিবহন মালিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক বেলায়েত হোসেন বলেন, আমাদের আন্দোলন  অবৈধ গাড়ি, রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ি, নির্দিষ্ট রুটের বাইরে চলাচলরত গাড়ি বন্ধের দাবিতে। এসব কারণে গণপরিবহনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে ১১ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে ধর্মঘটে যেতে হয়েছে। বাস, মিনিবাস, হিউম্যান হলার, টেম্পুসহ সব ধরনের গণপরিবহন ধর্মঘটের আওতায় রয়েছে। চট্টগ্রামে পরিবহনের সাত সংগঠনের মধ্যে ছয়টি এ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে।

মেট্রোপলিটন গণপরিবহন বাস মালিক সংগ্রাম পরিষদের দাবিগুলো গুলোর মধ্যে আরো রয়েছে- থানায় মাসোয়ারার নামে গাড়ি আটক করা যাবে না। অবৈধ টমটম ও অযান্ত্রিক যানবাহন বন্ধ করা। ইঞ্জিনচালিত রিকশা করিমন-নছিমন বন্ধ করা। গণপরিবহন শ্রমিকদের ওপর পুলিশের নির্যাতন বন্ধ। গণপরিবহন চালকের লাইসেন্সের শর্ত শিথিল করা। যানজট নিরসনে ট্রাফিকব্যবস্থা উন্নত করা, শহর এলাকায় গণপরিবহনের টার্মিনাল ও নির্ধারিত পার্কিং স্থাপন করা। বিআরটিতে দালালের উৎপাত ও যানবাহন চালক-মালিকদের হয়রানি বন্ধ করা ইত্যাদি।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :ডিসেম্বর ৩, ২০১৭ ৩:০১ অপরাহ্ণ