আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বাবাকে হত্যা করার হুমকি দিয়ে ১৭ বছরের কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করল এক রিহ্যাব সেন্টারের মালিক। কিশোরীর বাবাকে নেশামুক্ত করার জন্য যেখানে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হত সেখানেই এই ঘটনাটি ঘটেছে। পশ্চিম দিল্লির বাসিন্দা সেই কিশোরী দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। কিশোরীর বাবা ৪২ বছরের সেই ব্যবসায়ীকে বারবার নেশামুক্ত করার জন্য বিভিন্ন রিহ্যাবে দিয়েও কোনও ফল পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু ১৭ বছরের কিশোরীও নিজের বাবাকে সুস্থ করে তোলার লক্ষ্যে ছিল অনড়। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে কিশোরী তার বাবাকে গাজিয়াবাদের হ্যাপি হোম রিহ্যাবে নিয়ে যায়। এখান থেকেই শুরু হয় কিশোরীর যন্ত্রণাময় জীবনের।
কিশোরী জানায়, তাকে রিহ্যাব থেকে আশ্বাস দেওয়া হয় যে তার বাবাকে ৬ মাসের মধ্যে সুস্থ করে দেওয়া হবে। বাবাকে ভর্তি করার ২দিন পর রিহ্যাবের মালিক আমায় ফোন করে জানায় যে আমার বাবা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। আমি তাকে জানাই যে মা বাড়ি নেই তাই আমার পক্ষে গাজিয়াবাদ আসা সম্ভব নয়। তখন রিহ্যাবের মালিক জানায় যে আমার বাড়ির কাছে একটি হোটেলে বাবার মনোবিদের সঙ্গে যেন আমি কথা বলে নিই এ বিষয়ে। রিহ্যাবের মালিক সেরকম ব্যবস্থা করেছে। ’ এরপর সেই কিশোরীর অভিযোগ, সে হোটেলে যায় এবং তাকে নরম পানীয়তে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেওয়া হয়। পরের দিন সেই কিশোরী নিজেকে সেই হোটেল রুমের বিছানায় নগ্ন অবস্থায় পায় এবং তার পাশেই ঘুমিয়ে ছিল রিহ্যাবের মালিক।
কিশোরী বলে, ‘আমি যখন রিহ্যাব মালিককে গোটা ঘটনাটির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করি, সে তখন জানায় বিষয়টি জানাজানি হলে আমার বাবাকে সে মেরে দেবে এবং আমার নগ্ন ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবে বলেও হুমকি দেয়। এই হুমকি দিয়ে ক্রমাগত তাকে ধর্ষণ করে গিয়েছে রিহ্যাবের মালিক। ’ ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় কিশোরীর বাবার। এরপরই ওই কিশোরী পুলিশের দ্বারস্থ হয়। কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রিহ্যাব মালিককে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি